ঢাকা শনিবার, ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯শে ভাদ্র ১৪৩২


নাগেশ্বরীতে ৮ বছরের শিশু ছেলের মরদেহ সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার


প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২১:২৬

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ৮ বছরের এক শিশু ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরিবারের অভিযোগ, শিশুটিকে বলাৎকার করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন অভিযুক্ত যুবক মমিনুল ইসলামের মা মহসেনা বেগম, বোন ফাহিমা খাতুন, প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি এলাকার মমিনুল ইসলাম (পিতা ফরিদ উদ্দিন) একই এলাকার মশিউর রহমানের ছেলে শিশু মুরসালিন মিয়া (৮)-কে মোবাইলে ভিডিও দেখার প্রলোভন দেখিয়ে নিজ ঘরে নেয়। পরে শিশুটিকে বলাৎকার করে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে পালিয়ে যায়।

শিশু মুরসালিনের নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার মমিনুলের বাড়িতে খোঁজ করলে তার মা ও বোন শিশুর কোনো খবর জানে না বলে জানায়। পরদিন পুলিশ মমিনুলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু মুরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়ি ও নানার বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম এখনো পলাতক। এছাড়াও তার বাবা ফরিদ উদ্দিন, ভায়রা আব্দুল্লাহ ও শ্যালক মাসুম মিয়াও পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

ঘটনার সময় পালানোর চেষ্টা করলে মমিনুলের মা, বোন, নানা-নানিকেও উত্তেজিত জনতা ঘেরাও করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, “পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামিসহ বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”