নকলায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন

শেরপুরের নকলায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী ও কর্মসহ ইসলামের নানা বিষয়ে আলোচনাসভা, হামদ-নাত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে উপজেলার বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা মিলনায়তনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক শওকত আলীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সহ-সুপার মাওলানা মো. ফজলুল করিম, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. মোশারফ হোসাইন ও সহকারী মৌলভী হযরত আলী প্রমুখ।
বক্তারা জানান, সৌদি আরবের মক্কা নগরীর বিখ্যাত কুরাইশ বংশে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাবা আবদুল্লাহ ও মা আমিনা। জন্মের আগেই রাসুল (সা.) তাঁর বাবাকে হারান এবং ছয় বছর বয়সে তিনি মাতৃহারা হন। সমগ্র আরব জাহান যখন পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত তথা আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ প্রেরণ করেছিলেন। বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া, সহমর্মিতাসহ মানবিক গুণের সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মধ্যে। শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণাবলির অধিকারী হিসেবে তিনি ধর্ম-বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বকালে সর্বজন স্বীকৃত। তার সততার জন্য আরববাসীরা তাকে আল-আমিন বলে ডাকতেন। তারা বলেন, ‘যাকে সৃষ্টি না করলে হয়তোবা এই জগৎ সৃষ্টি করা হতো না, তাকে নিয়ে আলোচনা করে শেষ কখনো করার মতো নয়। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ পাঠ, দান-খয়রাতসহ নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে দিনটি অতিবাহিত করেন। অনেকে এই দিনে নফল রোজা রাখেন।’
আলোচনা সভার পরে হামদ-নাত, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনীর ওপর ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ রোকেয়া আক্তার, নুসরাত জাহান নিপা। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সহকারী মৌলভী সোহাগী বেগম, মোজাহিদুল ইসলামসহ অনেকে।
সবশেষে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনী ও কর্ম এবং ইসলামে শান্তি, প্রগতি, সৌহার্দ্য, সহিষ্ণুতা, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার, নারীর মর্যাদা বৃদ্ধিসহ দেশ জাতির কল্যাণে এবং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় উপস্থিত সকলকে সাথে নিয়ে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয়।
সহকারী মৌলভী ফুলেছা খাতুন ও সহকারী শিক্ষক মাহাদী মাসুদ, জেসমিন আক্তার, সবুজা খাতুন, মুক্তা খাতুন, কব্দুল হোসেন, আয়েশা সিদ্দিকা, তাহেরা সুলতানা, ইয়াছিন আহাম্মেদ, উজ্জল মিয়া, লাবনী বেগম ও আরিফ হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।