ঢাকা সোমবার, ১৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১লা আশ্বিন ১৪৩২


ঝিনাইগাতীতে সাংবাদিকের মোটরসাইকেল উদ্ধার হলেও গ্রেপ্তার হয়নি বাড়ির মালিক


প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:০০

শেরপুররের ঝিনাইগাতীর শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক সম্রাট রাসেল বাহিনীর হাতে ছিনতাইকৃত আহত সাংবাদিক খোরশেদ আলমের মোটরসাইকেল পুলিশী অভিযানে উদ্ধার হলেও গ্রেপ্তার হয়নি বাড়ির মালিক। এর আগে ১৫ আষ্ট শুরুবার রাত ১১ টায় সন্ধ্যাকুড়া বাজারে দেলোয়ারের চা দোকানে চা পান করার সময় সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর হামলা চালায় মাদক সম্রাট রাসেল বাহিনীর ২৫ ৩০ জন সসস্ত্র সন্ত্রাসী । এসময় রাসেল বাহিনীর সন্ত্রাসীদের তান্ডবে দোকান মালিক দেলোয়ার, ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান, কাঠ ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। রাসেল বাহিনীর সদস্যরা পুর্ব পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক খোরশেদ আলমের উপর হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতরভাবে আহত করে।

জানা গেছে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা সাংবাদিক খোরশেদ আলমের উপরে হামলার সমসয় তার কাছে থাকা টিভি এস মেট্রো পাস্ল একটি মোটরসাইকেল, ভিভু মোবাইল ওয়াই ২০টি একটি মোবাইল ফোন, সাংবাদিকতার ৪ টি পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় । রাসেল বাহিনীর হামলায় সাংবাদিক খোরশেদ আলম এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে খবর পেয়ে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আল আমিন পুলিশ ফোর্স নিয়ে সন্ধ্যাকুড়া বাজার থেকে রাসেল বাহিনীর হামলায় আহত সাংবাদিক খোরশেদ আলমকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইগাতী ও পরে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্তা করা হয় ।

এ ব্যাপার ১৬ আগস্ট শনিবার খোরশেদ আলম অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ৬ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ৬ জনকে আসামি করে ঝিনাইগাতি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

সোমবার (১৮ আগষ্ট) বিকালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের সন্ধ্যাকুড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে আহত সাংবাদিক খোরশেদ আলমের মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাংবাদিকের মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধার হয়নি।

জানা গেছে আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন ঝিনাইগাতীর শীর্ষ সন্ত্রাসী মাদক সম্রাট রাসেলের আপন মামা ও রাসেল বাহিনীর উন্যতম সদস্য। স্থানীয়রা জানান আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছর ধরে শেরপুর সীমান্ত পথে মাদক চোরাচালানসহ রাসেল বাহিনীর নানা ধরনের অপরাধের আইনি সহায়তার পাশাপাশি রাসেল বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন।

জানা গেছে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে রাসেল বাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে চলে আসে রাসেলের ওপর মামা ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়ার। তার সাথে রয়েছে স্থানীয় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানের প্রভাবশালী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনের সঙ্গে ও রয়েছে তার গভীর সম্পর্কও। ফলে রাসেল বাহিনীর সদস্যরা শত অপরাধ করলেও মামলা নেয় না থানা পুলিশ। এ অভিযোগ স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষের। আবার গুরুত্বপূর্ণ কোন কোন বিষয়ে মামলা নেয়া হলেও শিকারুক্তির বিষয়ে তাদের রিমান্ডে ও নেয়া হয় না । এ বিষে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি)মো, আল আমিন বলেন জামাল উদ্দিনের দাবি তিনি সাংবাদিককে হত্যার পরিকল্পনার সাথে জরিত ছিলেন না। বরং তিনি সহায়তা করেছেন।