ঢাকা বুধবার, ২৭শে আগস্ট ২০২৫, ১৩ই ভাদ্র ১৪৩২


আবারো আলোচনায় শিক্ষক প্রদিপ কুমার ঘোষ


প্রকাশিত:
২৭ আগস্ট ২০২৫ ২০:২৬

মাগুরায় এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিকবার ছাত্রীদের সাথে শ্লীতহানির অভিযোগ থাকা সত্যেও তার অদৃশ্য ক্ষমতাবলে নিজেকে শোধরানোর পরিবর্তে একাধিক বার একই কর্মকান্ড করে আলোচনার জন্ম দিচ্ছে বার বার এক শিক্ষক। এতে শতবর্ষী স্কুলটির সুনাম ও খ্যাতি নষ্ট হচ্ছে বলে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি শ্রীপুর সরকারি এমসি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক প্রদিপ কুমার ঘোষ।

অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদীপ কুমার ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিকবার তার নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে কু প্রস্তাব ও পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করিয়ে দেওয়ার প্রলোভনে একাধিক ছাত্রীদেরকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ রয়েছে। তার এমন কর্মকান্ডের একটি কুপ্রস্তাব দেওয়ার অডিও রেকর্ড ২০২০ সালে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে তার বিরুদ্ধে স্কুলটির শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সর্বসাধারণের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় উক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়।

উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাই করে নৈতিক অবক্ষয়ের বিষয়ে প্রমাণ পায় মাগুরা জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে বিদ্যালয়টি সরকারি হওয়ায় উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ পত্র মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নিকট পাঠানোর অনুরোধ করেন তদন্ত কমিটি। কিন্তু ঘটনার পর অদ্যবধি উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এ ঘটনার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পিতা (পরিচয় গোপন রেখে) জানান, সম্প্রতি ১১ আগস্ট আবারো স্কুল চলাকালে ক্লাসরুমে ঐ শিক্ষক অপ্রীতিকর ও আজেবাজে কথা বললে আমার মেয়ে বাসায় এসে তার আম্মুকে জানালে পরবর্তীতে আমি জানতে পারি। এরপর আমি ওই শিক্ষকের সাথে কথা বলি তিনি ভুল স্বীকার করে পরবর্তীতে এরকম কর্মকাণ্ড আর করবে না বলে আশ্বাস দেন। সে কারণেই তার বিরুদ্ধে আর কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে পরবর্তীতে যদি এরকম কর্মকান্ড সে করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ করা হবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদিপ বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনায় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগ অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদীপ কুমারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তিনি এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন। ইতিপূর্বে উনার এমন কর্মকান্ডের সময় আমি যেহেতু দায়িত্বে ছিলাম না সে কারণে তার ইতিপূর্বের ঘটনা গুলো কি হয়েছে আমি জানিনা। তবে এরকম কর্মকান্ডে সত্যতা পেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।