বেলকুচিতে মাহিন সরকারের জনপ্রিয়তাকে টার্গেট করে উদ্দেশ্যমূলক গুজব ছড়ানোর অভিযোগ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নৌবাহিনীর এক সদস্যকে গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতৃত্ব মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ প্রেসক্লাব বেলকুচি উপজেলা শাখায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলা হয়।
গতকাল শুক্রবার (২২ আগস্ট) জুম’আর নামাজ শেষে উপজেলার শেরনগর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত হেলাল মাস্টারের ছেলে নৌবাহিনীর সদস্য মো. আলিফ নিজ বাড়ি থেকে বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হন। নৌবাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আলিফের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা নিশ্চিত করেছেন।
তবে গ্রেফতারের পরপরই একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেয়। সেখানে দাবি করা হয়, মাহিন সরকারের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার ফুপাতো ভাই আলিফকে সেখান থেকেই আটক করা হয়েছে। এমনকি একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে দাবি করা হয়, মাহিন সরকারের বাসা থেকে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র প্রতিনিধি মুছা হাসেমী বলেন, “বাস্তবে আলিফ তার নিজ বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। মাহিন সরকারের বাড়িতে কোনো তল্লাশি চালানো হয়নি এবং কোনো অর্থও উদ্ধার হয়নি। বাহিনীর কোনো সদস্যই ওইদিন মাহিন সরকারের বাড়িতে প্রবেশ করেননি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।”
তিনি আরও বলেন, “মাহিন সরকারের জনপ্রিয়তা ও আন্দোলনের অর্জিত সম্মানকে নষ্ট করতে একটি মহল বারবার নোংরা ষড়যন্ত্র করছে। অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি, এ বিষয়ে বেলকুচি থানা পুলিশ সহযোগিতা করছে।”
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেন— “এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সত্যের পাশে থাকুন। ফ্যাসিবাদী শক্তির এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।”
মুছা হাসেমী আরও বলেন, “মাহিন সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার আসলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার ফ্যাসিবাদী ষড়যন্ত্র। জনগণ ও সাংবাদিক সমাজ একযোগে এমন মিথ্যাচার প্রতিহত করবে।”