রেলপথ অবরোধে আটকা ৭টি ট্রেন

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথ ব্লকেড করে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। এতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উভয় প্রান্তে ৭টি ট্রেন আটকা পড়েছে। এর মধ্যে ৬টি যাত্রীবাহী ও একটি মালবাহী ট্রেন রয়েছে। ফলে ঢাকার সঙ্গে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের রেল যোগাযোগে শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় রেলপথ ব্লকেড করে বিক্ষোভ শুরু করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, অবরোধের কারণে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী ৭টি ট্রেন আটকা পড়েছে। আটকা পড়া ট্রেনগুলো হলো শরৎনগর স্টেশনে চিলাহাটিগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস, লাহিড়ী মোহনপুরে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, টাঙ্গাইলে দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস, জামতৈলে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস, ইব্রাহিমাবাদে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস এবং চাটমোহরে ঢাকাগামী তেলবাহী ট্রেন।
তিনি বলেন, অবরোধের স্থায়িত্ব বাড়লে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে এ মুহূর্তে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন লেট হলেও শিডিউল বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই।
এদিকে দুপুর সোয়া ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রেলসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে ১০ আগস্ট হাটিকুমরুল গোলচত্বরে এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেদিন ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। এর পরও সরকারের কোনো পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া আমরা পাইনি। আজ ৪৮ ঘণ্টা শেষ। কর্মসূচি অনুযায়ী উল্লাপাড়া স্টেশন এলাকায় রেলপথ ব্লকেড করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আট বছরেও ক্যাম্পাস নির্মিত হয়নি এটা দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মচারী-কর্মকর্তাদের চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা ক্যাম্পাস চাই। ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরব না।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা কর্মসূচিতে মহাসড়ক অচল করে দেন শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এরপর ছয় মাসেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে আবার আন্দোলন শুরু হয়।