বেগমগঞ্জে জলবদ্ধতা নীরসন ও খাল দখলমুক্ত করায় প্রশংসা পাচ্ছেন ইউএনও

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জলাবদ্ধতা নীরসন ও সরকারি খাল দখলমুক্ত করায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন ইউএনও আরিফুর রহমান।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিভিন্ন পানি নিস্কাসনের খাল প্রভাবশালী মহলের অবৈধ দখল থেকে দখল মুক্ত করায় দ্রুত উদ্যোগ নেন বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান।
বেগমগঞ্জ উপজেলার সর্বস্থরের মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায় বর্তমান কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বেগমগঞ্জ উপজেলায় আসার পর থেকে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভাকে একটি সুন্দর নান্দনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি একজন পরিশ্রমি ও মেধাবী জনবান্ধব অফিসার হিসেবে ইতিমধ্যে মানুষের মাঝে পরিচিতি অর্জন করেছেন। মানুষের ভালোবাসা ও সহযোগিতা পেয়ে তিনিও আনন্দিত, তিনি বলেন আমাদের প্রশাসনের কাজে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা ও ভালোবাসা বেশি প্রয়োজন। উপজেলার সকল মানুষ আমাদের সহযোগিতা করলে আমরা যেকোন কাজ করতে আমাদের সহজ হয় বলে আমি মনেকরি।
আরিফুর রহমান বেগমগঞ্জ উপজেলার একজন কর্মট ও পরিশ্রমি অফিসার হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। সরকারী অফিস সময় বেলা ৪ টা পর্যন্ত হলেও জনগনকে সেবা দেওয়ার তিনি রাত ১০ টা পর্যন্ত নিজ অফিসে বসে থাকেন তার একটাই লক্ষ্য সাধারণ জনগণ আসবে সেবা নিতে আমি তাদের সেবা দিতে প্রস্তুত। সরকার আমাকে এখানে নিয়োগ দিয়েছে মানুষের সেবা করার জন্য তাই আমি আমার সঠিক দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছি মাত্র। ২০২৪ সালে ফেনী লক্ষীপুর, সদর, কবির হাট, কোম্পানি গঞ্জ, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, চাটখিল উপজেলা সহ সকল উপজেলায় মারাত্মক বন্যা দেখা দেয় যার কারনে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।
২০২৫ সালে এসেও তার একই চিত্র দেখা যায় একটানা ভারীবর্ষন ও পাহাড়িয়া ঢলের কারনে দেখা দেয় ফেনী সহ নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় জলাবদ্ধতা। সাধারণ জনগন বলছে এসব জলাবদ্ধতার মুল কারন হচ্ছে পানি নিষ্কাসনের সরকারি খাল দখল ও ভরাট করার কারনে পানি প্রবাহে বেঘাত হয়। তেমনি বেগমগঞ্জ উপজেলায় ও একই চিত্র দেখা যায় স্থানীয় জনগনের দাবীর মুখে চৌমুহনী পৌরসভার পানি নিষ্কাসনের বিভিন্ন খাল পরিস্কার ও দখল মুক্ত করার উদ্যোগ নেয় বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। ইতি মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয় খাল দখল মুক্ত করার অভিযান তাকে প্রশাসৈনিক ভাবে সহযোগিতা করেন বেগমগঞ্জ মডেল থানা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তিনি ইতিমধ্যে চৌমুহনী বাজার গোলাবাড়িয় খাল টক্কার পোল সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাল পরিস্কার ও অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দখল মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন সরকারি যায়গা দখল মুক্ত করতে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি পর্যাক্রমে সব খাল দখল মুক্ত করে পানি নিষ্কাসনের জন্য খুলে দেওয়া হবে।