কুমিল্লায় গোমতীর পানি বাড়ছে, প্রস্তুত ৫৮৩টি আশ্রয়কেন্দ্র

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও ফসলি চর প্লাবিত হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ফের বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে গোমতী নদীর পানির লেভেল দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৬৮ মিটার, যা বিপদসীমার মাত্র ১ দশমিক ৬৮ মিটার নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লায় ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টির কারণে উজান থেকে পানি আসায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ভারতে বৃষ্টি কিছুটা কমায় স্রোতের তীব্রতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুমিল্লা বিভাগের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালীউজ্জামান বলেন, গোমতী নদীর বিপদসীমা ১১ দশমিক ৩০ মিটার। বর্তমানে তা ৯ দশমিক ৬৮ মিটারে রয়েছে। অর্থাৎ এখনও প্রায় দেড় মিটার নিচে। বৃষ্টি কমলে এবং উজানের ঢল বন্ধ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। তবে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত আছি।
জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা ছৈয়দ আরিফুর রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই-এক দিন একই ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে।
জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার জানান, আগাম সতর্কতা হিসেবে ৫৮৩টি আশয়য়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনো খাবার, জিআর চাল ও নগদ অর্থ মজুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, প্রয়োজনে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরইমধ্যে টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লা নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গোমতী নদীর পানি আরও বাড়লে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।