ঢাকা মঙ্গলবার, ২০শে মে ২০২৫, ৭ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


সিরাজগঞ্জে সবজি ব্যবসায়ীকে হত্যায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড


২০ মে ২০২৫ ১৬:০৯

আপডেট:
২০ মে ২০২৫ ২২:০০

সিরাজগঞ্জে এক সবজি ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ এম আলী আহমেদ আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন বলে জানান আদালতের পেশকার মনোয়ারুল ইসলাম।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন- গাইবান্দার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পারমুন্দিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে খাঁজা মিয়া, একই গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে মো. বসু, হরিনাথপুর বিষপুকুর এলাকার মৃত মনো উদ্দিনের ছেলে মো. এনামুল, দরগাপাড়ার মৃত মজিবুর সেখের ছেলে মো. মোজাহিদ, মাদারদহ পুর্বপাড়ার আব্দুর রহমান প্রধানের ছেলে সাইদুল ইসলাম এবং সাঘাটা উপজেলার রামনগর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মিলন সরকার।

হত্যাকাণ্ডের শিকার সবজি ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম নওগাঁ সদর উপজেলার কিসমত কসবা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। ২০১৭ সালের ১২ অগাস্ট সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মামলার বরাতে পেশকার মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালের ১০ অগাস্ট নওগাঁর চরগৌরী হাট থেকে সবজি নিয়ে ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম ঢাকার বাইপাইল এলাকার একটি আড়তে বিক্রি করেন। ১১ অগাস্ট রাত ৩টার দিকে চন্দ্রা এলাকা থেকে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে নাজমুল ইসলামকে অপহরণ করা হয়। এরপর পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারীরা।

১২ অগাস্ট টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন স্বজনরা। কিন্তু সকালে তারা জানতে পারেন, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে নাজমুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপর স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

মামলা চলা অবস্থায় গাইবান্দার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ গ্রামের এলাহী মুন্সির ছেলে সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়। যে কারণে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পেশকার বলেন, আদালত পলাতক সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ ছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।