ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৫, ১৭ই বৈশাখ ১৪৩২


গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ১, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৪


২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১৫

আপডেট:
২৮ এপ্রিল ২০২৫ ১১:১৫

গাজীপুর মহানগরীর একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে সীমা আক্তার (৩০) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় সীমার দুই পরিবারের নারী-শিশুসহ দগ্ধ চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

গতকাল রোববার রাত বাসন থানাধীন মোঘরখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে দগ্ধ পাঁচজনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে আজ সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমা আক্তার মারা যান। তিনি মো. আলহাজ উদ্দিনের স্ত্রী।

চিকিৎসাধীন দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন পারভিন আক্তার (৩৫) এবং তাঁর দেড় বছরের ছেলে আয়ান, তাসলিমা বেগম (৩০) ও তাঁর মেয়ে তানজিলা বেগম (১০)।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজিব আহমেদ জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোগরখাল এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করান। সেখানে একজন মারা গেছেন।

মারা যাওয়া সীমা আক্তারের স্বামী আলহাজ জানান, তাঁরা উভয়ে পোশাক কারখানায় কাজ করেন। মোগরখাল এলাকায় আব্দুর রহিমের বাড়িতে বাসাভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাশের বাড়িতে রান্নাবান্না চলছিল। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের শিখা এসে তাঁর স্ত্রী ও এক শিশুসহ মোট পাঁচজনের শরীর দগ্ধ হয়। প্রথমে তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই সবাইকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে এনে ভর্তি করা হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, গাজীপুর থেকে নারী ও শিশুসহ মোট পাঁচজনকে গত রাত ১১টার দিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। রোগীদের মধ্যে পারভীনের শরীরের ৩২ শতাংশ, তানজিলার ৯০ শতাংশ, তাসলিমার ৯৫ শতাংশ ও আয়ানের ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাঁদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ওসি সজিব আহমেদ বলেন, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় পাঁচজনকে রাতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমা আক্তার মারা গেছেন। অন্যরা সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।