রৌমারী উপজেলাতে আরিফুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি নুরুজ্জামান মিয়া গ্রেপ্তার

রৌমারী উপজেলাতে আরিফুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবককে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি নুরুজ্জামান মিয়া (৪৪) কে গ্রেপ্তার করেছে রৌমারী থানা পুলিশ।
সোমবার গভীর রাতে রৌমারী উপজেলার কর্তিমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামি নুরুজ্জামান মিয়া রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর চরেরগ্রাম (ট্যাংরাপাড়া) এলাকার হামেদ আলীর ছেলে।
আরিফুল ইসলাম নিজেই ট্রাক্টর চালিয়ে বালুর ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিলেন। এ বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিরোধ সৃষ্টি হয় আজাদ ও তার ছেলে ইমনের সঙ্গে।
আসামি ইমন নিহতের বড় ভাইকে বলেন আমার বাবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে নিহত আরিফুল ইসলাম। তাকে ঠিক হতে বলেন, না হলে তাকে খেয়ে ফেলবো বলে হুমকি দেন।
নিহতের বড় ভাই বলেন, রোববার (১৬ মার্চ) ভোরে ট্রাক্টর চালাতে যাওয়ার জন্য আরিফুল ইসলাম কে মোবাইলে কল দিয়ে ডাকেন আরেক বালু ব্যবসায়ী ট্রাক্টর নুরুজ্জামান মিয়া।
তার কথামতো গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসেন তিনি। পরে রোববার সকালে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনয়িনের ধনারচর চরেরগ্রাম এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপারে আরিফুল ইসলামের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ওইদিন সকাল ৯টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের কিনারা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে রোববার রাতে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই আতিকুর রহমান।
নিহত আরিফুল ইসলাম রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি যাদুচর ইউনিয়নের ধনারচর চরেরগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান জানান, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।