ঢাকা বুধবার, ১২ই মার্চ ২০২৫, ২৯শে ফাল্গুন ১৪৩১


নোয়াখালীতে ব্রিকস মালিক সমিতির বিক্ষোভ -মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান


১২ মার্চ ২০২৫ ১৩:৫৭

আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ২১:৪৬

নোয়াখালীতে ইটভাটা গুলোতে অবাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জরিমানা ও ব্যাপক ভাঙচুর বন্ধের প্রতিবাদে ইটভাটার মালিক-শ্রমিকদের উদ্যোগে মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মঙ্গলবার ১১ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির ব্যানারে মাইজদী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে মাইজদী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মানববন্ধনে মিলিত হয়। শেষে তারা ৭টি প্রস্তাবনাসহ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি ইসমাইল ও সাধারণ সম্পাদক কে এম আফতাব উদ্দিনসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বক্তারা বলেন, দেশের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ সকল অবকাঠামো বিনির্মাণে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখছে ভাটাগুলো। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সমতা রেখে ইটভাটার মালিকরা বায়ুদূষণ রোধে সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির জিগজাগ ভাটা স্থাপন করে জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এখন দেশের ইটভাটাগুলো মাত্র ৫-১০% বায়ু দূষণ করছে, জৈব বস্তু পোড়ানোতে ৪০% এবং যানবাহনের কালো ধোঁয়া ৫০%, অথচ পূর্বে ইটভাটার দূষণমাত্রা ছিল ৫৮৭%। বিদ্যমান জিগজাগ ভাটায় আরও অধিকতর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

এই শিল্পে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মরত আছে, যেখানে ৫০ লাখ পরিবার তথা ২ কোটি মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা রয়েছে। ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেলে এই লোকগুলো বেকার হয়ে পড়বে। এছাড়াও প্রায় প্রতিটি ইটভাটার বিপরীতে ১ কোটি টাকার ওপরে ব্যাংক লোন যা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। এই ভাটাসমূহ বন্ধ হয়ে গেলে সমুদয় ব্যাংক লোন অনাদায়ী থেকে যাবে। ইটভাটার মালিকরা বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার অধিক রাজস্ব দিয়ে থাকেন।

পরে তারা জিগজাগ ইট ভাটা বন্ধের প্রতিবাদ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্সপ্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সাতটি প্রস্তাব উল্লেখ করে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

শেষে তাদের প্রস্তাবিত দাবিগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষ আলোচনায় না বসলে ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পদযাত্রার ঘোষণাও দেন।