ঢাকা বুধবার, ১২ই মার্চ ২০২৫, ২৯শে ফাল্গুন ১৪৩১


সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের বর্জ্য ও জলাশয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা


১১ মার্চ ২০২৫ ১৪:০৭

আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ০৯:৫৯

সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক’কে বর্জ্য ও জলাশয় ব্যবস্থাপনার উন্নয়নসহ পরিবেশ উন্নত করার লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অফ নেচার আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টারে ইমপ্লিমেন্টেশন অফ আরবান লিভিং ল্যাব ইন ফোর সিলেক্টেড সিটিস ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাসরুবা ফেরদৌস।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী,জেলা শিক্ষা অফিসার আবুল খায়ের,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিম,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমুন নাহার, জিআইজেড প্রকল্প প্রধান এম মাহমুদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী মোঃ হারুন-অর-রশীদ,পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান,জিআইজেড প্রকল্প এডভাইজার ইন্দিরা ফন গারকে,এডভাইজার মোঃ আতিয়ার রহমান,ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনসারভেশন অফ নেচার প্রোগ্রাম অফিসার তারেক আজিজ,সিটি কোর্ডিনেটর শেখ রাকিব আহসান,রাহাতুল ইসলাম,সানজিদা ইয়াসমিন,এম পাওয়ার সোশ্যাল এন্টারপ্রাইসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার জাওয়াদ আহমেদ, প্রজেক্ট অ্যান্ড ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর সুমন কান্তি দাস সহ আরো অনেকে।

প্রকল্পের কাজ,বাংলাদেশ দ্রুত নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাবের সম্মুখীন। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বন্যা, তীব্র গরম এবং কঠিন আবহাওয়ার মতো সমস্যা এটিকে আরও জটিল করে তুলছে। অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, পরিবেশের অবক্ষয় এবং দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান থাকার কারণে উপকূলীয় শহরগুলো বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবসস্থায় আছে। ফলে শিশু-কিশোর, নারী, দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী এসব পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

“সবার জন্য বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শহর” (LICA) প্রকল্পটি GIZ-এর যার লক্ষ্য জলবায়ু-সংবেদনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর পরিবেশ ব্যবস্থাপনা উন্নত করা। এই প্রকল্পের একটি প্রধান উপাদান হলো খুলনা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী এবং সিরাজগঞ্জ শহরে আরবান লিভিং ল্যাব (ULL) প্রতিষ্ঠা করা। এই ল্যাবগুলো সমন্বিতভাবে গ্রিন স্পেস ও ব্লু স্পেস (যেমন পার্ক, উদ্যান ও পুকুর, জলাশয়) ব্যবস্থাপনা, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এবং স্থানীয়ভাবে গৃহীত মানানসই সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে নগরের পরিবেশগত প্রতিকূলতা মোকাবিলায় কাজ করবে।