ঢাকা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৭ই বৈশাখ ১৪৩২


সাতক্ষীরায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের অভিযোগ


৭ মার্চ ২০২৫ ২২:৫১

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০১:১৩

আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অন্যের ক্রয়কৃত বাশ-খুটি দিয়ে টিনের চাল তুলে জমি জবরদখলের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা সংগ্রাম ফিলিং স্টেশনের পিছনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আদালতে নালিশী এ জমির জবরদখল নেয় সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার মৃত আনছার আলীর ছেলে মো. আল আমিন।

এ ঘটনায় গত ২৪-০২-২০২৫ তারিখে ১৪৫ ধারা জারি করে বিজ্ঞ আদালত। এ আদেশে পরবর্তী দিন ধার্য্য করে ৪১৬নং স্মারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা সদর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) অনুরোধ করা হয়। এরআগে গত ২৩-০২-২০২৫ তারিখে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৪-০২-২০২৫ তারিখে ১৪৫ ধারা জারি করে বিজ্ঞ আদালত।

ভুক্তভোগী সাতক্ষীরার বাঁকাল এলাকার মৃত আফজাল সরদারের ছেলে মো. মারুফ হোসেন বাবলু জানান, ‘সাতক্ষীরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ১৭-০২-১৯৯৯ তারিখে ১৩৭৫ নং ও ১০-০৮-২০০০ তারিখে ৭৫৯০ নং কোবলা দলিল মূলে সাতক্ষীরার পলাশপোল মৌজায়, জে এল নং- ৯৪, এসএ খতিয়ান নং- ১১৭৪, দাগ নং- ১৩৩০২, ১৩৩৮৩ তে ৫.৫ ও ৬ মোট ১১.৫০ শতক এবং আরএস/বিএস খতিয়ান ৩২৫৮, দাগ নং- ৫৮৮০ ও ৫৮৮১ দাগে মোট ৫.৭৫ শতক জমি ক্রয় করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ভোগ দখলে আছি। বেশ কিছুদিন ধরে আমার ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় সম্পত্তি বহিরাগত লোকজন নিয়ে জবরদখলের পাঁয়াতারা শুরু করে মৃত আনছার আলীর ছেলে মো. আল আমিন। তারই জের ধরে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে আল আমিনের নেতৃত্বে বহিরাগত লোকজন এসে আমাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করে’।

তিনি আরো জানান, ‘এ ঘটনার পর আমি আদালতের স্মরণাপন্ন হই। আদালত ১৪৫ ধারা জারি করে সেখানে সকল ধরণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ না মেনে তারা তাদের জবরদখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে জানালেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না’। এদিকে জবরদখলে অভিযুক্ত আল আমিন জানান, ‘অন্যের জমিতে নয় নিজেদের ক্রয়কৃত জমিতে ঘর বাঁধতে গেলে উল্টে মো. মারুফ হোসেন ও তার ছেলে কাজে বাঁধা দিচ্ছে এবং এসে আমাদের ঘেরা বেড়া, চাল, ও জিনিসপত্র ভাঙচুর করেছে’।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) অতীশ সরকার বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে যদি সেখানে জবরদখল প্রক্রিয়া চলমান থাকে সেই রিপোর্টটা আমারা আদালতের ধার্য্য দিনে আদালতে পেশ করবো এবং রিপোর্ট অনুযায়ী আদালত অবশ্যই যথাযথ সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে। এটা আদলতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে’।