ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চোর আতংকে দুই গ্রামবাসী

শীত যত ঝেঁকে বসেছে চুরির আতংক তত বাড়তে শুরু করেছে।কয় মাস ধরে প্রায় প্রতি রাতেই গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটছে। শীতের কুয়াশা বাড়ার সাথে সাথে বাড়েছে চুরির ঘটনা। এর ফলে চুরির আতঙ্কে ভুগছে উপজেলার দুই গ্রামবাসী।ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের বড়িয়াচং ও কাহেতুরা গ্রামের।
সরেজমিন কাহেতুরা গ্রামে গেলে আলমগীর, মুক্তার, সৈয়দ হোসেন,মলাই মেম্ভার,রফিক সহ আরো অনেকেই জানায়, তাদের গ্রামে প্রতি রাতেই কারো না কারো বাড়িতে,দোকানে বা মসজিদে চুরির ঘটনা ঘটছে। চোরেরা মসজিদের মাইক ব্যাটারী,দোকানের বিভিন্ন মালামাল,বাড়ি ঘরের রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার,গরু ছাগল,হাঁস মোরগী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র নিয়ে যায়।আর যারা এ কাজে নিযুক্ত রয়েছে তারা এলাকার মাদকসেবী,মাদক ব্যবসায়ী ও নারী ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত। তাছাড়াও কুন্ডা ইউনিয়নের বাড়িয়াচং গ্রামের প্রায় ১৫০টি পরিবার বসবাস করে।যাদের অধিকাংশই নিম্ন আশের মানুষ । একমাত্র পেশা কৃষি আর গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করা তাদের কাজ। গত এক মাস ধরে গ্রামে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। প্রায় প্রতি রাতেই গ্রামের কোনো না কোনো বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে। বিদ্যুতের লাইট, বাথরুমের বদনা, টিভি, মোবাইল,টিউবওয়েল, গবাদি পশুসহ যা পাচ্ছে ঘরে সিদ কেঁটে সব নিয়ে যাচ্ছে। চোরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ দুই গ্রামবাসী।
মঙ্গলবার রাতে কমল সরকারের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। টাকা, মোবাইলসহ ঘরের অনেক মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা।কমল সরকার জানান,গ্রামে প্রতিদিন কোন না কোন ঘরে বা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে।
গ্রামের নারদ সরকার জানান,কয়েকদিন আগে আমার ঘরের ভিতর চোর প্রবেশ করে টিভি, ফ্যান নিয়ে গেছে। আমি একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করি।এখন আমাদের গ্রামে অহরহ চুরির ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে গ্রামবাসী উদ্বিগ্ন ও আতংকিত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান এডঃনাসির উদ্দিন ভূইয়া বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। তারা আমার সাথে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নাসিরনগর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে চুরি -ডাকাতি অনেক কমেছে। ইতোমধ্যে অনেক চোর ডাকাতকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। কোথায় কোথায় চুরি হচ্ছে এগুলো আমাদের অবগত করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো বলে জানান এ কর্মকর্তা।