ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২


পিরোজপুরের নেছারাবাদে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুনীকে ধর্ষণের অভিযোগ


৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩:০০

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪২

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে নেছারাবাদের ২ নং সোহাগদল ইউনিয়নের (৪ নং ওয়ার্ড) বরছাকাঠি গ্রামের শিমুল (৩৫) নামের মানসিক প্রতিবন্ধী তরুনীকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তরুনীর ঘরে ঢুকে ধর্ষন করেন একই এলাকার প্রতিবেশী আলম (৬০), তিনি একজন চায়ের দোকানদার।

ঘটনার সময় শিমুলের ছোট ভাবি ফারজানা গোসলে গিয়ে ঘরের বেড়ার ফাঁকা দিয়ে দেখতে পান অভিযুক্ত আলম তার ননদকে ধর্ষন করছেন এবং সাথে সাথে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি দিয়ে  প্রতিবেশীদের ডেকে আলমকে আটক করেন। ধরা পড়ে পরক্ষণেই আলম এলোপাতাড়ি সবাইকে কিল ঘুষি মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী শিমুলের বৃদ্ধ মা, বড় ভাবি, ছোট ভাবি এবং প্রত্যক্ষদর্শিরা বলেন- আলম এর আগেও প্রায়ই প্রতিবন্ধী শিমুলকে চা, পান, বিস্কুট বা বিভিন্ন খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করতো। প্রতিবেশী আলম প্রায়ই ভাতের মার নেওয়ার কথা বলে প্রতিবন্ধী শিমুলের ঘরের ভেতরে আসতো।

শিমুলের বড় ভাই দিনমজুর মোঃ স্বপন সুতার জানান, এ ব্যাপারে আলমকে আগেও অনেকবার সাবধান করার পরও আজ এরকম জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার ঘরের মহিলারা এবং প্রতিবেশিদের হাতে আলম ধরা পড়ার পর সবাইকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর অসহায় দরিদ্র পরিবার ও প্রতিবেশিরা এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত আলমকে কোথাও খুজে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন তার ঘরেই পড়ে রয়েছে তাই তাকে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

ধর্ষনকারী অভিযুক্ত আলমের স্ত্রী নুরজাহানও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, এ ব্যাপারে আমার স্বামীর সাথে এর আগেও আমার অনেকবার ঝগড়া হয়েছে এবং তাকে সাবধান করা হয়েছে। তবুও তিনি আজ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বনি আমিন দৈনিক আমাদের দিনকে বলেন, এ ঘটনার ব্যাপারে থানায় এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।