ঝিনাইগাতীতে মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতায় বাদীর পরিবার

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মামলা তুলে নিতে আসামী পক্ষের লোকদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হতদরিদ্র বাদীর পরিবার। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডেফলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার সকালে ওই গ্রামের হোটেল শ্রমিক মিন্টু মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাড়ির সামনে রাস্তায় পাশে বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন। এসময় প্রতিবেশি প্রভাবশালী মোস্তাফিজুর ফাতেমা বেগমকে উত্ত্যক্ত করে।
ফাতেমা বেগম এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে মোস্তাফিজুরের মামা শ্বশুর পিয়ার আলীসহ তার লোকজন ফাতেমা বেগমকে বেধড়ক মারধর ও টানাহেছড়া করে। ফাতেমা বেগমের স্বামী মিন্টু মিয়া ও আশপাশের লোকজন ফিরাতে এলে তাদেরকেও মারধড় করে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী মিন্টু মিয়া। স্থানীয়রা আহত ফাতেমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে পিয়ার আলীসহ ৫ জনকে আসামী করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
অভিযোগ রয়েছে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এবং মামলা তুলে নিতে বাদী ফাতেমা বেগমও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রামছাড়া করার পাশাপাশি নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে।
ফাতেমা বেগম জানান, শুক্রবার বিকালে আসামী পিয়ার আলীর সহযোগী একই গ্রামের মোস্তফার নেতৃত্বে ৪/৫ তার বাড়িতে আসেন। এসময় তারা ফাতেমা বেগমকে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনার পর থেকে ফাতেমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এবিষয়ে মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ফাতেমা বেগমকে আমরা কোন হুমকি দেইনি। আমরা মামলাটি আপোষ করার প্রস্তাব নিয়ে ফাতেমা বেগমের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
আসামি গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামী পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।