মাওলানা সা'দ কান্দলভীকে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য শেরপুরে বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান
আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমীর দিল্লির মাওলানা সা'দ কান্দলভীকে বাংলাদেশের ইজতেমায় আসার অনুমতি দেয়া এবং বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে যাতে তাদের অন্য গ্রুপ মাওলানা যুবায়ের গ্রুপ কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেই সুস্পষ্ট আদেশ জারির দাবি জানিয়ে সারা দেশের প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারক লিপি দিয়েছে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (মাওলানা সা'দ গ্রুপ)। এর অংশ হিসেবে শেরপুরেও জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছে শেরপুরের তাবলীগ জামাতের দায়িত্বশীলরা (শুরা)। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল দশটায় শেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে তাবলীগ জামাতের পক্ষে এ স্মারক লিপি পেশ করেন শেরপুর জেলার দায়িত্বশীল মো. হেদায়েতুল ইসলাম, শেরপুর সরকারি কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল মো. সারোয়ার জাহান, তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার কোষাধ্যক্ষ মো. নোমান তালুকদার, মো. সাঈদ মাহমুদ সুমন, সাকিব হাসান, মো. মোশাররফ হোসেন প্রমুখ। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন আরও প্রায় দেড় হাজার তাবলীগের সাথী।
স্মারকলিপিতে তারা দাবি উল্লেখ করেন,ভারতের দিল্লি মারকাজ থেকে সারা বিশ্বে তাবলীগ জামাত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন এবং বিশ্বের প্রায় সকল দেশের তাবলীগের দায়িত্বশীলরা তাকে আমীর হিসেবে মেনে নিয়েছেন। কেবলমাত্র বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের সামান্য মতবিরোধ থাকলেও বাংলাদেশে এটি প্রকট এবং মূলত মাওলানা সা'দ কান্দলভীকে যে সকল কারণে বাংলাদেশে আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে সেই দেওবন্দ মাদ্রাসারও আসলে তাকে নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই যা দেওবন্দ মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আরশাদ মাদানী স্পষ্ট করেছেন এবং পাকিস্তানের স্বনামধন্য আলেম মাওলানা ত্বকী ওসমানীও তাবলীগের উভয় পক্ষকে হক বলেছেন।
বিগত সাত বছর যাবত বাংলাদেশের ইজতেমায় দিল্লির মাওলানা সা'দ কান্দলভীকে আসতে দেয়া হচ্ছে না। যার ফলে বিশ্বের প্রায় ১১৫ টি দেশের কয়েক হাজার বিদেশি মেহমানও বাংলাদেশে আসছেন না এবং একারণে দেশও রেমিট্যান্স বা বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
তাই এবছর ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমায় দিল্লির মাওলানা সা'দ কান্দলভীকে আসতে অনুমতি চেয়ে এবং যুবায়ের গ্রুপ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে সেই আদেশ জারির দুই দফা দাবিতে তাবলীগ জামাত (মাওলানা সা'দ গ্রুপ) জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং সেনা বাহিনীর জেলা কমান্ডারের মাধ্যমেও স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।