ঢাকা রবিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


শেরপুরে আক্তার আলী হত্যার আসামীদের দ্রুত বিচার ও ফঁসির দাবিতে মানববন্ধন


২০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:১০

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ২০:০০

 


শেরপুর জেলার সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের ছোট ঝাউয়েরচর গ্রামের একটি খেত থেকে ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মোঃ আক্তার আলী (২৮) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে শেরপুর সদর থানার পুলিশ।

মৃত আক্তার আলী সদর উপজেলার ইলশা গ্রামের জনৈক আইয়ুব আলীর ছেলে।

মৃতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ইলশা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মোঃ আক্তার আলী ৪ মাস পূর্বে বিয়ে করে। গত ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে আক্তার আলী বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় এবং এরপর সে আর বাড়িতে ফিরেনি। পরে তার বাবাসহ পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে না পেয়ে সদর থানায় জিডি না করে তারা ফেসবুকে হারানো বিজ্ঞপ্তি দেয়। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে পার্শ্ববর্তী ছোট ঝাউয়েরচর গ্রামের কৃষকরা খেতে কাজ করতে গেলে অজ্ঞাত যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে সদর থানায় খবর দেন। পরে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবায়েদ আলম, ওসি তদন্ত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল গিয়ে প্রথমে আক্তার আলীর লাশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে। এসময় লাশের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়। অপরদিকে লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে নিখোঁজ আক্তার আলীর বাবাসহ আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থল গিয়ে আক্তার আলীকে সনাক্ত করেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় মোঃআয়ুব আলী বাদী হয়ে শেরপুর সদর থামায় আট (৮) জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। আসামীরা হলেন ১.মিন্টু মিয়া(৩০) ২.মিস্টার আলী ৩. লুতফর রহমান(৪০) ৪.আরিফ ৫.সুমন মিয়া ৬.আতিক মিয়া (২৪) ৭. নতু ৮.দুলাল মিয়া সর্ব সাং:- ইলশা, শেরপুর সদর শেরপুর। ইতিমধ্যে ১ এবং ৩ নং আসামীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে শেরপুর থানা পুলিশ।

এদিকে ইলশা বাসি সকলে একত্রিত হয়ে ২০/১০/২৪ ইং তারিখ রোজ রবিবার বেলা ১.০০ ঘটিকার সময় শেরপুর জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে এক মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে সকল আসামীর দ্রুত আটক ও ফাসির দাবি করে জেলা প্রশাসক বরাবর এক স্মারক লিপি প্রদান করা হয়।