ঢাকা শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪, ২১শে আষাঢ় ১৪৩১


সাতক্ষীরায় অনলাইন জুয়া পরিচালনা করছে রসুলপুরের ধ্রুব


২ জুলাই ২০২৪ ১৩:১৫

আপডেট:
৫ জুলাই ২০২৪ ০১:৩৫

 

সাতক্ষীরা শহর রসুলপুর গোরস্তান এলকার ধ্রুব অনলাইনে অবৈধ ঘোষিত জুয়ার সাইট পরিচালনা করছে। তিনপাত্তি (https://1xbetbd.mobi/en) সহ বিভিন্ন জুয়ার অ্যাপস ব্যবহার করে তার পরিচালনা করছে ধ্রুব। এতে অনলাইন জুয়ার নেশায় পড়ে এলাকার যুব সমাজ ভিতর মারতœক আকার ধারন করছে। অনলাইন জুয়ার ডিলার নামে পরিচিত শহরের রসুলপুর গোরস্তান এলাকার গোবিন্দ দাসের ছেলে ধ্রুব দাস।

জুয়া মূলত একটি প্রতারণার ফাঁদ। ধ্রুবর এই প্রতারণার ফাঁদে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হচ্ছে হাজারো যুবক। একবার এই ফাঁদে প্রবেশ করলে বের হয়ে আসা কঠিন। সাধারণ মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং (নগদ,বিকাশ,রকেট) মাধ্যমে জুয়া খেলার টাকা লেনদেন করছেন। এই জুয়া সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমে নতুন রূপ পেয়েছে। অনলাইনে জুয়ার অ্যাপস সহজলভ্যতার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে এর সংখ্যা।

অনলাইন জুয়ায় আসক্ত বেশির ভাগই স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থীসহ তরুণ প্রজন্ম, যা আমাদের জন্য একটি অশনিসংকেত। অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে জুয়ার ফাঁদ পাতা হয়। লোভ দেখানো হয় একদিনেই লাখপতি হওয়ার। এসব ফাঁদে পা দিচ্ছেন উঠতি বয়সী তরুণ, বেকার যুবকেরা। জুয়ায় আসক্তদের নিয়ে চরম অশান্তিতে রয়েছে পরিবারগুলো। টাকার জন্য তারা স্বজন ও স্থানীয়দের কাছ থেকে ধার করছে। এ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পরিবারকে হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে। চুরির মতো অপরাধেও জড়াচ্ছে জুয়াড়িরা। একাধিক অনলাইন বেটিং অ্যাপসে প্রবেশ করে দেখা যায়, প্রথমে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপসের অ্যাকাউন্টে টাকা লোড করা হয়। কখনো স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমেও জুয়ার টাকা লেনদেন হয়।

এই জুয়ায় আসক্ত সুমন জানান, এই জুয়ার কারণে ঋণী হয়েছি । সমিতি ও আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতি বেশীর কাছ থেকে টাকা ধার করে জুয়া খেলে নিঃশ্ব হয়েছি । আমি অসহায় জীবন-যাপন করছি। আমি চাই এই জুয়ার ফাঁদে আর কেউ পা না দেয়।

রসুলপুর এলাকার এক বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, আমার ছেলে মোবাইলে কি গেম আছে সেটা খেলে কলেজ- পড়াশুনা সব বন্ধ করে দিছে, আর টাকা চাইলে না দিলে সংসারে আসবাসপত্র ভাংচুর করছে। এই অনলাইন জুয়া বন্ধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে অনলাইন জুয়ার ডিলার খ্যাত ধ্রুব দাসের কাছে ফোন করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন ।