ঢাকা মঙ্গলবার, ২রা জুলাই ২০২৪, ১৯শে আষাঢ় ১৪৩১


শেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে কৃষক নিহত, আহত ৩


৩০ জুন ২০২৪ ১৫:০৫

আপডেট:
২ জুলাই ২০২৪ ২২:২২

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগনীমুরা নামাপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২৯ জুন শনিবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে ছামেদুল হক ওরফে কেনা (৬৫) নামে এক কৃষক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছে নিহত ছামেদুল হক ওরফে কেনার দুই ভাই মোঃ ফজলুল হক (৫৮) ও মোঃ আঃ হামীদ (৬০) ও ছেলে পারভেজ (২৮)।

নিহত ছামেদুল হক ওরফে কেনা সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগনীমুরা নামাপাড়া গ্রামের মৃত ছাইয়েদ আলী মন্ডলের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার যোগনীমুরা নামাপাড়া গ্রামের মৃত ছাইয়েদ মন্ডলের ছেলে মোঃ ছামেদুল হক ওরফে কেনার সাথে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মোঃ নূরুল আমীন মাস্টারের ছেলে হারুণ (৪২) গংদের সাথে এক একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধপূর্ণ জমি হারুণসহ অপরাপররা জোরপূর্বক দখল এবং কলা গাছের চারা রোপণ করে। এঘটনায় পুনরায় হারুণের নেতৃত্বে শনিবার সকালে তার ভাই আলমগীর হোসেন হীরু (৪০), খলিলুর রহমানের ছেলে রুকন (৩০), হাবিবুর রহমানের ছেলে জামান (৩৫), মামুন (৩২), ইন্তাজ আলী (৩০), ধলু মিয়ার ছেলে রুমান (৩০) ও জব্বার আলীর ছেলে ছিদ্দিক খলিফাসহ ৩০/৩৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুনরায় ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে যায়। এসময় ছামেদুল হক ওরফে কেনা ও তার ভাইসহ পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে ছামেদুল হক ওরফে কেনাকে ওই সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা এলোপাথারী লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এসময় সন্ত্রাসীদের বাধা দেয়ায় অপর দুইভাই ফজলুল হক, আঃ হামীদ ও ছেলে পারভেজ কেও পিটিয়ে আহত করে। পরে আত্মীয় স্বজন ছামেদুল হক ওরফে কেনাসহ আহত অপরাপরদের শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আহসান উল মতিন সৈকত ছামেদুল হক ওরফে কেনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেন। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আকরামুল হোসেন পিপিএমসহ অন্যান্য অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ছামেদুল হক ওরফে কেনার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজনের হাতে সে নিহত হয়েছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে সূরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।