বেলকুচি থানা ভারপ্রাপ্ত ওসি শহিদুল ইসলাম এর সহযোগিতায় ৩ বছর পর হারানো মাকে ফিরে পেলেন তার সন্তানেরা
সিরাজগঞ্জ জেলায় বেলকুচি পৌর ৩ নং ওয়ার্ড চালা গ্রামে মডেল কলেজ পাড়ায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করেন এক বৃদ্ধ মহিলা। চালা গ্রামের লোকজন বৃদ্ধ মহিলাকে তার নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে কিছু বলতে পারে না, সাংবাদিক মান্নান এ-র ফোন কলের মাধ্যমে গত ১/১২/২০২৫ ইং তারিখ এই বৃদ্ধ মহিলাটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
বৃদ্ধের নাম ঠিকানা সন্ধানের জন্য ফেসবুক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সনাক্তকরণের চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘ পাঁচদিনের মাথায় তার নাম ঠিকানা সনাক্ত চেষ্টার পর , সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করেন বৃদ্ধি মহিলাটির পরিবারের লোকজন,তার নাম- মোছাঃ লাইলী বেগম (৫৫), স্বামী - মৃত ইব্রাহিম গাছু,সাং- ইদুলপুর,থানা- সাদুল্লাপুর , জেলা- গাইবান্ধা ।
তাহার ২ মেয়ে ও ১ ছেলে । বড় মেয়ের নাম- মোছাঃ রিমা খাতুন (২০) অবশেষে তার নিজের ঔরসজাত সন্তান রিমা খাতুন ও মেয়ে জামাই এবং এলাকার ইউপি সদস্য সংবাদ শুনে থানায় এসে তার মাকে সুস্থ অবস্থায় নিয়ে যান।
জানা যায় বৃদ্ধ মহিলাটি ৩ বছর আগে নিখোঁজ হন। তার মা নিখোঁজ হওয়ার পর তার মেয়ের বিয়ে হয় হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধের ঔরসজাত সন্তান রিমা খাতুন ও মেয়ে জামাই জানান,দীর্ঘ ৩ বছর আগে হারিয়ে যায় আমার মা,অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পাইনি।ফেসবুকের মাধ্যমে দেখতে পাই মাকে, বেলকুচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহোদয়ের সাথে যোগাযোগ করি। দীর্ঘ ৩ বছর পর হারানো মাকে ফিরে পেলাম। বেলকুচি থানার ওসি মহোদয়ের সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়া তিন বছর পর মাকে ফিরে পেয়ে আজ আমাদের অনেক আনন্দ অনেক খুশি লাগছে।
বেলকুচি থানার ওসি মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, গত ১/১২/২০২৫ তারিখ সাংবাদিকের ফোন কলের মাধ্যমে এই বৃদ্ধ মহিলাটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।বৃদ্ধ মহিলাটি আধো আধো ভাবে তার নাম মোছাঃ লায়লা বেগম (৫৫) বলে জানায়। বৃদ্ধ মহিলাটি তার কোন পুরোপুরি ঠিকানা বলতে পারে নাই। পরবর্তীতে তার নাম ঠিকানা সন্ধানের জন্য ফেসবুক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সনাক্তকরণের চেষ্টা করা হয়। দীর্ঘ পাঁচদিনের মাথায় বৃদ্ধি মহিলাটির পরিবার যোগাযোগ করেন।
৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা তার পরিবারের লোকজন থানায় এসে বৃদ্ধ মহিলাকে বাড়িতে নিয়ে যায়,অনেক দরিদ্র পরিবারের বৃদ্ধ মহিলাটির চিকিৎসার জন্য ও বাড়িতে যাওয়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেন বেলকুচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহিদুল ইসলাম।দেশবাসীর উদ্দেশ্য বলেন আশা করি সকল পরিবার তাহার/তাহাদের নিজ পিতা-মাতাকে সম্মানের সহিত আগলে রাখবেন এবং অসুস্থ হলে বা কোন সমস্যা হলে সাধ্য বা সামর্থ্য অনুযায়ী যতটুকু সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।সমাজের বিত্তবানদের নিকটবর্তী অসহায় গরিব মানুষের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেন বেলকুচি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম!
