ঢাকা সোমবার, ১০ই নভেম্বর ২০২৫, ২৭শে কার্তিক ১৪৩২


নকলাসহ জেলার প্রতিটি উপজেলা কৃষ্ণচূড়া ও জাকারান্ডার রঙে সাজবে


প্রকাশিত:
১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:২৯

শেরপুরের প্রতিটি এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নকলা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কয়েকহাজার কৃষ্ণচূড়ার চারা রোপন করার পাশাপাশি পরীক্ষা মূলকভাবে অস্ট্রেলিয়ান জাতের ৩০০টি জাকারান্ডা ফুলের চারা রোপন করা হয়েছে।
এরমধ্যে, নকলার বিভিন্ন এলাকায় ১২০টি, ঝিনাইগাতীতে ৯০টি, শ্রীবরদীতে ৫০টি ও নালিতাবাড়ীতে ৪০টি জাকারান্ডা ফুলের চারা চারা রোপন করা হয়েছে। সবগুলো চারা খুব সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে।

সৌন্দর্য বর্ধণকারী এসব গাছের বেড়ে উঠা দেখে মনে করা হচ্ছে, এখানকার মাটি ও পরিবেশ জাকারান্ডা গাছের জন্য উপযোগী। তাই আগামীতে জেলায় আরো এক হাজার জাকারান্ডা গাছের চারা রোপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে “নকলা অদম্য মেধাবী সহায়তা সংস্থা” নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আবু শরীফ কামরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছর পরীক্ষা মূলক ভাবে জেলায় অস্ট্রেলিয়ান জাতের ৩০০টি জাকারান্ডা ফুলের চারা রোপন করা হয়েছে। আগামীতে আরো এক হাজার চারা রোপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নকলা অদম্য মেধাবী সহায়তা সংস্থা। তিনি জানান, পরিকল্পনা মোতাবেক আগামীতে নকলা উপজেলায় ৪০০টি, ঝিনাইগাতীতে ১৫০টি, শ্রীবরদীতে ১৫০টি, নালিতাবাড়ীতে ১৫০টি জাকারান্ডা গাছের চারা রোপন করা হবে। আবু শরীফ কামরুজ্জামান আরো জানান, জেলায় কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, উইপিং দেবদারু, জাকারান্ডা ও চেরীসহ বিভিন্ন জাতের মোট ৫ হাজার ৩৯৫টি গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। এরমধ্যে নকলায় ২ হাজার ৫০০টি, গজনী অবকাশ কেন্দ্রে এক হাজার, শেরপুর সদরে ২২৫টি, শ্রীবরদীতে ২২০টি, ঝিনাইগাতীতে ২০০টি, নালিতাবাড়ীতে ২৫০টি। এছাড়া চলতি বছর নকলা অদম্য মেধাবী সহায়তা সংস্থার উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনে এক হাজার ফলজ গাছের চারা রোপন করা হয়েছে।

স্থানীয় অনেকে জানান, বৃক্ষ শুধু পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাই করে না, মানুষের জীবিকা ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বিশেষ করে কোন প্রতিষ্ঠানের জায়গায় রোপন করা হলে তা সংশ্লি¬ষ্ট প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন তারা। শেরপুর জেলাকে অদূর ভবিষ্যতে কৃষ্ণচূড়া ও জাকারান্ডা ফুলের জেলা হিসেবে দেশবাসী চিনবে বলে তারা আশাব্যক্ত করেন।