ঢাকা মঙ্গলবার, ৪ঠা নভেম্বর ২০২৫, ২১শে কার্তিক ১৪৩২


ডুমুরিয়ায় মাদ্রাসা পরিচালকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনের জেরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশিত:
৩ নভেম্বর ২০২৫ ২১:৫১

ডুমুরিয়ার মঠবাড়িয়ায় সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মাদ্রাসা পরিচালক মোস্তফা কামাল। গতকাল ৩ নভেম্বর সকাল ১১ টায় ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত অভিযোগে মোস্তফা কামাল বলেন,
উপজেলার কুলবাড়িয়া আল হাবিব (সাঃ) নূরানী ক্যাডেট স্কিম মাদ্রাসা প্রায় ১৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই মাদ্রাসা সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ গত ১ নভেম্বর উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামের রিপন মোড়ল নামের জৈনিক ব্যক্তি তার স্ত্রী শিপু বেগমের সাথে আমার নাম জড়িয়ে নিজ বাড়ীতে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে। এবং তা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যাতে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। ওই সংবাদ সম্মেলনে মঠবাড়িয়া গ্রামের মোসলেম মোড়লের ছেলে রিপন মোড়ল আমাকে ও তার স্ত্রী শিপু বেগমকে জড়িয়ে কিছু বিভ্রান্তি মূলক অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত কল্প কাহিনী তুলে ধরেছেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেছেন আমি নাকি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জের ধরে তার স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন সময় রাত্রি যাপন করেছি। গত ১৩ অক্টোবর ২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ তাকে নিয়ে পালিয়েছি। এমন কিছু উদঘাট অভিযোগ তুলে ধরেছেন। আবার নিজেই বলেছেন ২৫/১০/২৫ তারিখে মেয়ে আয়েশার বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে পাওয়া গেছে। আমার সাথে যদি সত্যিই প্রেমের সম্পর্ক থাকতো এবং রাত্রি যাপন হত তাহলে একদিন না একদিন হাতে নাতে ধরা পড়তাম। আর যদি তাকে নিয়ে পালাতাম, তাহলে মেয়ের বাড়িতে খুঁজে পাবে কেন? তাছাড়া তাকে নিয়ে পালিয়ে গেলে কি ভাবে মাদ্রাসায় নিয়মিত হাজির হয়েছি? অবশ্য মিথ্যা কাহিনী সাজাতে কিছু ভুল ত্রুটি হওয়া স্বাভাবিক। সেটিই হয়েছে। সুতরাং প্রেমের সম্পর্ক, রাত্রি যাপন ও টাকা গহনাসহ তাকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ কাল্পনিক ও অসত্য সত্য।

২০১৪ সালে কুলবাড়িয়া বাসীর সহযোগীতা ও আমার অক্লান্ত পরিশ্রমে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যার শুরু থেকে আমি মুহতামিম হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমান ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা ৩ শতাধিক। আমি চরিত্রহীনা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক ও এলাকাবাসী নিশ্চয়ই আমার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতো। আমি জোর গলায় বলতে পারি আমার বিরুদ্ধে তাদের কাছে এমন কোন অভিযোগ নেই বা আপনারা খুঁজেও পাবেন না। প্রকৃত ঘটনা হলো রিপনের পরিবারের সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এ ছাড়া এলাকার একটি কুচক্রী মহল আমার ও মাদ্রাসার উন্নয়নে এশ্বানিত হয়ে পরিকল্পিত ভাবে এটি করেছে। রিপন ও শিপু দম্পতির মেয়ে আয়েশা খাতুন আমার মাদ্রাসার ছাত্রী ছিল ঠিকই কিন্তু সে মাদ্রাসা ত্যাগ করেছে আরো ৫ বছর আগে। তার মা শিপুর সাথে আমার কখনও ঘনিষ্ঠ বা প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। আজও নাই। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন,আল হাবিব (সাঃ) নূরানী ক্যাডেট স্কিম মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব আলী আহমেদ মোড়ল, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন দলের উপজেলা সেক্রেটার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি সদর মাওলানা মুজিবুর রহমান, মোস্তফা কামালের বড় ভাই মোঃ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।