ঢাকা সোমবার, ২৩শে জুন ২০২৫, ১০ই আষাঢ় ১৪৩২


জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা


২৩ জুন ২০২৫ ১৬:০৬

আপডেট:
২৩ জুন ২০২৫ ২২:১৩

ছবি : সংগৃহীত

ক্ষতিপূরণসহ চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি নিয়ে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা ঢাকার শাহবাগ মোড় আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির চারপাশেই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দিলে আন্দোলনকারীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ওসি মো. খালিদ মনসুর।

দুপুর আড়াইটার দিকে ওসি মনসুর বলেন, “তারা আধাঘণ্টার জন্য সড়ক বন্ধ করেছিলেন, এরপর আমরা বুঝিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছি। প্রায় এক ঘণ্টা আগেই তারা মোড় ছেড়ে দিয়ে জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।”

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শাহবাগ মোড় ছেড়ে দিয়ে সরে যাওয়ার পর ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

২০০৯ সালে ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত এবং কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের ন্যায়বিচার ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন চাকরিচ্যুত, কারামুক্ত বিজিবি সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।

‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদের’ নেতৃত্বে এদিন তাদের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়ে সচিবালয়েও গিয়েছিলেন।

উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক শেষে পরবর্তী করণীয় ও কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানানোর পরদিনই তারা শাহবাগ মোড় আটকে বিক্ষোভ দেখালেন।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সচিবালয়মুখী মিছিলে কাঁদানেগ্যাস, জলকামান ও সাউন্ডগ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এর আগের দিন পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি। ক্ষমতার পালাবদলে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি জোরালো হয়। এরপর ওই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিশন গঠন করে সরকার।

বর্তমান সরকারের সময়ে কয়েকদফায় কারাবন্দী থাকা বিডিআর সদস্যদের জামিনে মুক্তি পেতে দেখা গেছে। এরমধ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তখনকার সময়ের চাকরিচ্যুত বিডিআর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।