‘তথ্য আপা’দের প্রিজন ভ্যানে ‘সরিয়ে নিল’ পুলিশ

ঢাকার কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান নেওয়া ‘তথ্য আপা’দের প্রিজনভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ বলছে, তাদেরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি; সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীদের রোববার বিকাল ৪টার দিকে টেনে হিঁচড়ে প্রিজনভ্যানে তুলতে দেখা যায়। পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “তাদেরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি, সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে।”
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এর আগে আন্দোলনকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করা হলেও তারা তা শোনেননি। এ পরিস্থিতিতে ‘ভয় দেখানোর জন্য’ তাদের প্রিজনভ্যানে তোলা হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মিছিল বের করেন ‘তথ্য আপা’রা। প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে বের হওয়ার সময় তারা একবার পুলিশি বাধা অতিক্রম করলেও কাকরাইল মসজিদ মোড়ে আবার বাধা পেয়ে সেখানেই অবস্থান নেন। সে সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি ঘটে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম দুপুরে বলেছিলেন, “তাদের একটা প্রতিনিধি দলকে যমুনায় পাঠানো হয়েছে। তারা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন। দেখি তারা স্মারকলিপি দিয়ে ফিরুক। আর এমনিতে বাকিরা রাস্তার একপাশে অবস্থান করছেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে আসার পরও অবস্থান অব্যাহত রাখায় তাদেরকে প্রিজন ভ্যানে তুলে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে পুলিশের ভাষ্য। ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা দুই দফা দাবিতে গত বুধবার থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দুই দফা দাবি হলো- ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পে কর্মরত সব জনবলকে সমগ্রেডে পদ সৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা এবং কর্তন করা বেতন ও ভাতা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিশোধ করা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই হাজার নারী মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছেন। চলতি মাসের পর প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, তাই তারা চাকরির স্থায়ী সমাধান চেয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।