চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান নিক্ষেপ

ক্ষতিপূরণ ও চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। আজ সোমবার দুপুর ১টার দিকে শিক্ষা ভবন মোড়ে অবস্থান নেন তাঁরা।
এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পৌনে দুইটার দিকে ব্যারিকেড ভেঙে বিডিআর সদস্যরা সামনে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ এবং জলকামান ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন আহত হয়। পুলিশ এ সময় চারটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নাজমুল হক নামের একজন বলেন, অন্যায়ভাবে যারা জেলে রয়েছে তাদের মুক্তি এবং বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগের আমলে যে বিডিআর সদস্যরা চাকরি হারিয়েছে, তাদের চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। স্বাধীন তদন্ত কমিশনের একটি ধারাও বাতিল করতে হবে।
পুলিশ আন্দোলনকারী বিডিআর সদস্যদের শিক্ষা ভবনের মোড় থেকে সরিয়ে দিলে দোয়েল চত্বরের দিকে যেতে থাকেন তাঁরা। এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা। সমাবেশ শেষে দুপুর পৌনে ১টার দিকে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে থাকেন। এ সময় মিছিলটি শিক্ষা ভবনের পাশে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। এতে সড়ক অবরোধ করে বসে পড়েন আন্দোলনরতরা।
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়। তারা বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। পরে তারা সেখান থেকে চলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, দুপুর ১টার দিকে চারিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। এরপরই সড়কেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা, এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধের পর মিছিলটি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করার পাশাপাশি জলকামান, কাঁদুনে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে। এতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা দোয়েল চত্বরের দিকে সরে যান, পরে যান চলাচলও স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, “আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়েছে। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।”
এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এক সদস্য বলেছেন, শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশের লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেডে আহত হয়ে আড়াইটার দিকে সাতজন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন।
এর আগে রোববার পিলখানা বিজিবি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন চাকরিচ্যুতরা।