ঢাকা রবিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৫, ১২ই শ্রাবণ ১৪৩২


মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে বসে যে আমল করবেন


প্রকাশিত:
২৬ জুলাই ২০২৫ ১৪:৪৩

জীবন নিয়ে জন্ম নেওয়া প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যু বরণ করতে হবে। মৃত্যু থেকে বাঁচার বা রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় নেই। মৃত্যু জীবনের পরম এক বাস্তবতা। কোনোভাবেই এই বাস্তবতাকে উপেক্ষা করার উপায় নেই।

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কেয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে। তারপর যাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।’ (সুরা আল ইমরান, আয়াত : ১৮৫)

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু কিন্তু তোমাদের পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান করো, তবুও।’ (সুরা আন নিসা, আয়াত : ৭৮)

কোনো ব্যক্তি মৃত্যুর নিকটবর্তী হলে বা মুমূর্ষু অবস্থায় পতিত হলে তার পরিবার, পরিজন ও আশপাশের লোকজনের উচিত এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে তার মৃত্যু সুন্দর ও সহজ হয়।

মুমূর্ষু ব্যক্তির শেষ সময়ে পরিবারের লোকজন যে আমল করবেন—

কালেমায়ে তায়্যিবার তালকিন

মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে বেশি বেশি কালেমায়ে তায়্যিবার তালকিন করা। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে মুমূর্ষূদের ‘লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহ’-এর তালকিন দাও। (তার সামনে কলেমা পাঠ করতে থাক যেন সে শুনে আল্লাহকে স্মরণ করে।) (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯৯৫)

কালিমার তালকিন অর্থ হচ্ছে- তার পাশে একটু আওয়াজ করে কালেমা পড়তে থাকা। তবে এ অবস্থায় তাকে কিছুতেই মুখে উচ্চারণ করে কালেমা পড়ার আদেশ করা যাবে না।

সুরা ইয়াসিন তিলাওয়াত

মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে সূরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। মাকাল ইবনে ইয়াসার (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের মৃত্যু বরণকারী ব্যক্তির নিকট ’সুরা ইয়াসিন’ পাঠ করবে।(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৩১০৭)