ঢাকা শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা না মেনে

উপজেলা নির্বাচন: মির্জা আজমের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ


২ মে ২০২৪ ১০:১১

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১০:১৫

সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাঁচ প্রার্থী

জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য মির্জা আজমের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে এনে চেয়ারম্যান পদে তার মনোনীত দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পাঁচ প্রার্থী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পাঁচ চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ প্রার্থীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান রহমতুল্লা রিমু।

বক্তব্যে প্রার্থী জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে উন্মুক্ত নির্বাচনের ঘোষণা দেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা না মেনে মাদারগঞ্জে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলালের নাম ঘোষণা করেন সংসদ সদস্য মির্জা আজম। এর প্রতিবাদ করলে বাকি পাঁচ প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত করেন মির্জা আজম এবং তার পরিবার ও অনুসারীরা। এছাড়াও মির্জা আজমের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদিন আয়না বলেন, ওবায়দুর রহমান বেলাল টানা তৃতীয়বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন। তিনি মির্জা আজমের আজ্ঞাবহ ও মেরুদণ্ডহীন বলেই তাকে বার বার চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বেলাল। এমন দুর্নীতিবাজ লোক আবার চেয়ারম্যান হলে মাদারগঞ্জের ক্ষতি হবে। আমরা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি বলে উল্টো আমাদের হয়রানি করাসহ ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন বাদল বলেন, মির্জা আজম একজন সংসদ সদস্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন। আমরা এখনও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোনো অভিযোগ দিইনি। আজ থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে।

মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবৈধভাবে নানা সুবিধা দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। বেলাল দলীয় প্রার্থী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন। আমরা এই বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাই।

বক্তারা অতি দ্রুত দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন তারা।

এ বিষয়ে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে।