ঢাকা রবিবার, ৪ঠা মে ২০২৫, ২১শে বৈশাখ ১৪৩২


শুল্ক থেকে রেহাই পেতে বাংলাদেশকে আরও বেশি তুলা কেনার চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র


৩ মে ২০২৫ ১৩:০০

আপডেট:
৪ মে ২০২৫ ০৩:৫৫

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক এড়াতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে হোয়াইট হাউসে আলোচনা করতে যান প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান। এই সময় দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের এক কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনায় করেন তিনি। ওই কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি করে ‘তুলা আমদানি’ করতে চাপ দেন খলিলুর রহমানকে। মার্কিন পত্রিকা দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট- এর কলামিস্ট ম্যাট বাইয়ের এক কলামের বরাতে নেত্র নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

ম্যাট বাইয়ের লেখায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম তুলা আমদানিকারক দেশ। দেশটি পশ্চিম আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকে বেশি তুলা আমদানি করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক থেকে রেহাই পেতে চাইলে দেশটিকে আরও বেশি মার্কিন তুলা কিনতে হবে- এমন শর্ত দেন ওই কর্মকর্তা। এই শর্ত খলিলুর রহমান দ্রুতই মেনে নেন।

ওই বৈঠকের পরেই খলিলুর রহমানকে পাশের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ককে দেখতে পেয়ে হতচকিত হয়ে উঠেন তিনি।

কলামে বলা হয়, মাস্ক ‘স্টাররলিংক ও বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে চলমান আলোচনা’ নিয়ে কথা বলতে চান।

যদিও স্টারলিংককে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করতে না দিতে স্থানীয় টেলিকম কোম্পানিগুলোর চাপ ছিল।

ওই প্রেক্ষাপটে মাস্কের সঙ্গে বৈঠকটির চিত্র দাঁড়ায় ‘বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বস্ত্র রপ্তানিকারক দেশটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সুবিধাজনক বাণিজ্য শর্ত পাবে না, যদি স্টারলিংককে বাংলাদেশের বাজারে ঢুকতে না দেওয়া হয়।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা কিংবা ওয়াশিংটন- কোনো পক্ষই তার এই হোয়াইট হাউস সফর কিংবা মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেনি। তবে পরবর্তীতে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়। ৯০ মিনিটের এক ভিডিও কলে মাস্ক ও স্টারলিংকের নির্বাহী রিচার্ড গ্রিফিথসের সঙ্গে কথা হয় ইউনূস ও খলিলুর রহমানের। ওই বৈঠকে মাস্ককে বাংলাদেশে সফরে এসে স্টারলিঙ্ক সিস্টেমের উদ্বোধন দেখার আমন্ত্রণ জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।

তবে কূটনৈতিক দেনাপাওনার আভাস উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশি কর্মকর্তারা স্টারলিংককে ভবিষ্যৎ ইন্টারনেট বন্ধের বিরুদ্ধে এক ধরণের সুরক্ষাকবচ হিসেবে তুলে ধরছেন। এক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পূর্বের আওয়ামী লীগ সরকার বিক্ষোভ দমনে ইন্টারনেট ব্লককে ব্যবহার করেছে। সেই চর্চার অবসান চায় নতুন সরকার।

গত মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টারলিংককে দশ বছরের লাইসেন্স দেওয়া হয়।