পরিস্থিতির উন্নতি, বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান ২০
বিশ্বের বহু শহরের মতো বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তন ও নগরায়নের চাপে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। রাজধানী ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে ছিল। তবে সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার (IQAir) এর র্যাংকিং অনুযায়ী, ঢাকা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ২০তম, যার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) স্কোর ছিল ৭৭। এই স্কোর ‘মাঝারি’ দূষণের পর্যায়ে পড়লেও জনস্বাস্থ্যের জন্য তা এখনও সতর্কবার্তা বহন করে।
দূষণের শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে রয়েছে- কামপালা, উগান্ডা – AQI ১৫৭, সান্তিয়াগো, চিলি – AQI ১৫৩,দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত – AQI ১৩৭,কিনশাসা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো – AQI ১৩২,বাগদাদ, ইরাক – AQI ১১৭, বেইজিং, চীন – AQI ১০৫,জেরুজালেম, ইসরায়েল – AQI ৯৬, করাচি, পাকিস্তান – AQI ৯৬,কুয়েত সিটি, কুয়েত – AQI ৯২,কায়রো, মিশর – AQI ৯২ ।
বায়ুমান সূচক অনুযায়ী
০-৫০: ভালো
৫১-১০০: মাঝারি
১০১-১৫০: সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর
১৫১-২০০: সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর
২০১-৩০০: খুব অস্বাস্থ্যকর
৩০১-৪০০: ঝুঁকিপূর্ণ
ঢাকায় দূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে নির্মাণকাজ থেকে ধুলাবালি,যানবাহনের কালো ধোঁয়া,ইটভাটা ও শিল্পকারখানার বর্জ্য, অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
যদিও AQI স্কোর ৭৭ ‘মাঝারি’ দূষণ হিসেবে ধরা হয়, তবে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত বলা যায় না। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থদের জন্য এমন পরিবেশও ক্ষতিকর হতে পারে।
ঢাকার বায়ুমান কিছুটা উন্নত হওয়ায় এটি এখন আর শীর্ষ ১০ দূষিত শহরের মধ্যে নেই, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো বার্তা। তবে, দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন কার্যকর পরিবেশনীতি,গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন,সবুজ এলাকা বাড়ানো,জনসচেতনতা বৃদ্ধি।
