ঢাকা শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


নির্বাচনে পোস্টার বাদ, আচরণবিধিতে যেসব পরিবর্তন আসছে


৮ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৩

আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ১০:০৩

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সমান সুযোগ দিতে পোস্টার বাদসহ আচরণবিধিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি বলছে, খসড়াটি প্রায় চূড়ান্ত। এখন এটি অনুমোদনের জন্য কমিশনে জমা দেওয়া হবে। অনুমোদনের পর তা সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।

ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমরা আচরণ বিধিমালার খসড়া করার জন্য বসেছিলাম। প্রায় তৈরি হয়েছে। পরবর্তীতে কমিশনে প্লেস করব। এরপর কমিশন চূড়ান্ত করবে। সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, আমাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করব। আশা করি চমৎকার আচরণবিধি হবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যয় ন্যূনতম রেখে শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়, গ্রামীণ পর্যায়ে একেবারে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে যেন প্রচার-প্রচারণা করতে পাওে, সে ধরনের একটা মনোভাব নিয়ে করতে চাচ্ছি। এক্ষেত্রে আরপিও যেখানে সংশোধন করার প্রযোজন হবে সেখানে সংশোধন করা হবে।

আচরণবিধির খসড়া প্রস্তাবে রয়েছে নির্বাচনী প্রচারণাপত্র বা লিফলেটে পলিথিনের আবরণ চলবেনা এবং প্লাস্টিকের ব্যানার ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনে কোনো পোস্টার করা যাবে না, কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, ট্রেন বা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে জনসভা কিংবা মশাল নিয়ে মিছিল করা যাবে না। কোনো ধরনের ‘শোডাউন’ করা যাবে না। প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন করা যাবে না।

নির্বাচনে কেন পোস্টার রাখতে চাচ্ছেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব এরকমই। সে প্রস্তাবকে ভালোই মনে করছি। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের বিষয়টিও আছে। গুজব যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেগুলোও ভাবছি। আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতার জন্য যে টুলসগুলো আছে, সেগুলোকে শক্তিশালী করব। দুইশ টাকা, পাঁচশ টাকা জরিমানার বিষয়গুলো আরও বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। আচরণবিধির বাইরেও পেনাল কোড আছে। আচরণবিধি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা পরবর্তীতে অংশীজনদের সঙ্গে বসব। অবস্থাই আমাদের বলবে কী করতে হবে।

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমাদের তো প্ল্যান আছে কবে কি করব। এই যে আমরা মিটিং করছি। এটাও প্ল্যানিংয়ের অংশ।

সংসদীয় সীমানা পুনর্র্নির্ধারণের বিষয়ে তিনি জানান, সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের যে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছিল আইন মন্ত্রণালয়ে তা পাঠিয়ে ছিলাম। ঈদের আগে কেবিনেটে এ নিয়ে মিটিং হয়েছে। এখনো আমরা অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলে আমরা ডিলিমিটেশনের কাজটা করতে পারব। অনুমোদন না হলে বিদ্যমান আসন বিন্যাসের আইন অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

দল নিবন্ধনের বিষয়ে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দল নিবন্ধনের যে বিজ্ঞপ্তি এতে ‘রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’ নামে এক সংগঠন একটি রিট করেছে। এটা শুধু তাদেও ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। দুএকটি দল আবেদন করেছে। এখন ২০ এপ্রিলের মধ্যে যদি অনেক দল আবেদন করে তাহলে এক রকম হবে। তবে ২০ তারিখ এলে বোঝা যাবে সময় বাড়ানো হবে কি না। একটি দল আবেদন করেছে। আমাদের ধারণা ২০ এপ্রিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি দল আবেদন করার জন্য প্রস্তুত।