এবার ৪০ ‘বিশিষ্ট নাগরিককে’ সংলাপে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শিক্ষাবিদদের পর সংলাপে বসতে এবার ৪০জন বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২২ মার্চ ইসি তাদের সঙ্গে সংলাপে বসবে।
ইসি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার থেকে বিশিষ্ট নাগরিকদের সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্মসচিব (জনসংযোগ) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই ৪০ জনের বাইরে আরও নাম যুক্ত হতে পারে। আগামী ২৯ মার্চ সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপ আয়োজন করা হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নেওয়ার লক্ষ্যে এই সংলাপ করছে। কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন এই কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার ১৫ দিনের মাথায় গত রবিবার থেকে সংলাপ শুরু করেছে। প্রথম দিনের সংলাপে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তাতে অংশ নিয়েছিলেন ১৩ জন, বাকী ১৭জন উপস্থিত হননি।
ইসি সূত্র জানায়, যে ৪০ জন বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তাঁদের মধ্যে আছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আটজন উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দীন খান, মির্জা আজিজুল ইসলাম, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধুরী, রোকেয়া আফজাল রহমান, হোসেন জিল্লুর রহমান এবং আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
তালিকায় আরও আছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক–সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ, সিপিডির সম্মানিত ফেলো রওনক জাহান ও মোস্তাফিজুর রহমান, আইনজীবী শাহদীন মালিক, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গোলাম হোসেন, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল।
এছাড়া তালিকায় আরও আছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, আবুল বারকাত, আমেনা মহসিন, কাবেরী গায়েন, রোবায়েত ফেরদৌস, এসএম শামীম রেজা, শেখ হাফিজুর রহমান। তালিকায় আছেন- মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ওয়ালি উর রহমান, নিজেরা করি–র সমন্বয়ক খুশী কবির, বাংলাদেশ ইনডিজিনাস পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, গভর্নেন্স অ্যান্ড রাইট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট জহুরুল আলম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক আব্দুল হাফিজ, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান ও লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সিনহা এম এ সাঈদ।