ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১


হকার থেকে কোটিপতি সেই আ'লীগ নেতা হাজি ফারুক!


১৬ জুন ২০২১ ১৭:৩২

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ১১:০৮

পাবনা গণপূর্ত ভবনে গত ৬ জুন সদলবলে আগ্নেয়াস্ত্রসহ মহড়া দিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন স্থানীয় একদল ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতা। তাদেরই একজন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ফারুক হোসেন ওরফে হাজি ফারুক। একযুগ আগেও পাবনার ফুটপাতে বসে টুকিটাকি জিনিস বিক্রি করা (হকার) এ ফারুকই সম্প্রতি শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোটি টাকা দিয়ে বাড়ি কিনেছেন সাবেক এক মন্ত্রীর কাছ থেকে। তার উত্থানও যেন সেই আলাদিনের চেরাগ কাহিনীর মতো। আলাদিনের চেরাগ হাতে পাওয়ার মতোই ঠিকাদারিতে জড়িয়ে অল্প দিনেই হকার থেকে বনে গেছেন কোটিপতি। আর এর পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার আশীর্বাদ।

প্রভাবশালী ওই নেতার ছত্রছায়ায় থেকে ফারুক শুধু সম্পদশালীই হননি, দিন দিন হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। সরকারি কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করেন না তিনি। তার দাপটে পাবনার সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ ঠিকাদাররা অতিষ্ঠ। ভুক্তভোগীরা সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়া তো দূরে থাক, তার বিরুদ্ধে মুখ খোলারই সাহস করেন না। গত মাসেই এলজিইডির এক প্রকৌশলীকে ফারুক লাঞ্ছিত করলেও আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টির লোক দেখানো মীমাংসা হয়। এর আগে গত বছরের শেষের দিকে তার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের এক কর্মকর্তা। তবে ওই ঘটনারও লোক দেখানো মীমাংসা হয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যস্ততায়।

এদিকে পাবনা গণপূর্ত ভবনে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়ার ঘটনা তদন্তে নেমে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ওই আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্র ও গুলির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ফারুকের বিষয়ে জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা তাদের কাছে থাকা তথ্য-উপাত্তের বরাত দিয়ে  বলেন, নাইস কনস্ট্রাকশনের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন একসময় হকারি করতেন (পাবনা নিউ মার্কেটের সামনের রাস্তার ফুটপাতে বসে কমদামি প্রসাধনী ও চুড়ি-মালা বিক্রি)। বিভিন্ন ঠিকাদারের সাইট ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করেছেন। পরে তিনি বিদেশে চলে যান। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে ফিরে পাউবো, এলজিইডিসহ বিভিন্ন দপ্তরে দরপত্র ছিনতাই করে, সাধারণ ঠিকাদারদের টেন্ডারে অংশগ্রহণে বাধা দিয়ে এবং সিন্ডিকেট করে কাজ কেড়ে নিতে শুরু করেন।

ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় একপর্যায়ে টেন্ডার সমঝোতা কমিটির হর্তাকর্তা বনে যান। পরিচিতি পান নিগো ফারুক হিসেবে। ধীরে ধীরে এলজিইডির উন্নয়নকাজে আধিপত্য বিস্তার করে, কখনো নিম্নমানের কাজ করে, কখনো কাজ না করেই বিল তুলে নিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। গত ১২ বছরে ফারুক তার নাইস কনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকার ঠিকাদারি মেশিনারিজ (মিকচার মেশিন, রোলার, এক্সাভেটর), ব্যক্তিগত দুটি জিপগাড়ি (যার মধ্যে একটি উচ্চমূল্যের টয়োটা ভ্যাসেল), কার, মোটরসাইকেলসহ অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বালু ও মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত হয় হাজি ফারুকের বেশকিছু ড্রাম ট্রাক। যার সংখ্যা ৮-১০টি। সম্প্রতি সাবেক মন্ত্রী মেজর (অব.) মনজুর কাদেরের কাছ থেকে একটি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে অবস্থিত আনুমানিক পাঁচ কাঠা জমির ওপর থাকা ওই বাড়িটির শুধু জমির মূল্যই ১ কোটি টাকা (২০-২৫ লাখ টাকা কাঠা হিসেবে)। আর জমিসহ বাড়িটির দাম ২ কোটি টাকার কম হবে না বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

সরকারি কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তুলতে দ্বিধা করেন না ফারুক : আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ফারুক জোর করে ঠিকাদারি কাজ দখলে নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রকৌশলীকে সম্প্রতি লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ২৩ মে জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কার্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়। গণপূর্ত বিভাগে অস্ত্রের মহড়ার বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা সৃষ্টি হলে হাজি ফারুকের নানা অনিয়ম-অপকর্ম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগীরা।

পাবনা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী ও দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি আবদুল খালেক আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ফারুকের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকায় একটি রাস্তা নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত ২৩ মে দুপুরে হঠাৎ হাজি ফারুক হোসেন আমার কক্ষে এসে কাজটি তাকে দেওয়ার দাবি করেন। নিয়ম অনুযায়ী আবেদন, দরপ্রস্তাব ও কাগজপত্র ঠিক থাকলে কাজ পাবেন। যোগ্যতা না থাকলে বাতিল হবে জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে মারতে উদ্যত হন। অফিসের সহকর্মীরা তাকে এসে নিবৃত্ত করলেও তিনি আমাকে দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন।’

কেন আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেননি জানতে চাইলে এলজিইডির এই প্রকৌশলী বলেন, ‘ঘটনা অবহিত করে নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে লিখিত জানিয়েছি। আমি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু প্রভাবশালী দুজন জনপ্রতিনিধি বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ নিয়ে আমাদের অফিসে আসেন। নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেসুর রহমান তাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করে নেন।’

আবদুল খালেক আরও বলেন, ‘আমি নিয়মনীতির বাইরে কোনো কাজ করি না। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনে এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোটেও প্রত্যাশিত নয়, বিব্রতকরও বটে।’

পাবনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমানের কাছে প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে কথা বলার কিছু নেই, সব বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সাক্ষাতে বিস্তারিত জানাব।’ সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি নেতাদের নাম জানতে চাইলে তিনি তা বলতে রাজি হননি।

স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ঠিকাদারি কাজ নিয়ন্ত্রণ ও অনিয়ম, নিম্নমানের কাজ করে বিধিবহির্ভূতভাবে বিল আদায় করতে সরকারি কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, লাঞ্ছিত ও মারধরের অভিযোগ ফারুকের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম নয়। এর আগেও কর্মকর্তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন তিনি। তার দাপটে সরকারি সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ ঠিকাদার অতিষ্ঠ। মানসম্মানের ভয়ে কেউ আইনের আশ্রয় নেওয়া তো দূরের কথা, তার বিরুদ্ধে মুখ খোলারই সাহস করেন না।

এর আগে গত বছর ১৯ অক্টোবর হাজি ফারুক জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে ঢুকে সুপারিনটেনডেন্ট মুশফিকুর রহমানকে লাঞ্ছিত করলে তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পাবনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

মো. মুশফিকুর রহমান  বলেন, ‘জেলা ফিন্যান্স ও অ্যাকাউন্টস অফিস থেকে সব সরকারি কর্মকর্তার বেতন ও উন্নয়নকাজের বিলের অর্থ দেওয়া হয়। নাইস কনস্ট্রাকশনের মালিক ফারুক হোসেন তার একটি ঠিকাদারি কাজের জামানতের পাঁচটি চালান হারিয়ে ফেলে পরে ডুপ্লিকেট চালান তৈরি করে বিল দাখিল করেন। বিষয়টি আইনসম্মত না হওয়ায় হারিয়ে যাওয়া জামানতের চালানের অনুকূলে থানায় সাধারণ ডায়েরিসহ বিল দাখিলের পরামর্শ দেওয়া হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন বিকেলে ম্যানেজার আসাদকে সঙ্গে নিয়ে হিসাবরক্ষণ অফিসে এসে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারতে উদ্যত হন। এ সময় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটে এসে তাকে থামাতে গেলে তিনি আমাকে হত্যার হুমকি দেন। পরে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে এসে তিনি আমার কাছে ক্ষমা চান।’

সরকারি কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিতের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাজি ফারুক বলেন, ‘প্রকৌশলী আবদুল খালেকের সঙ্গে আমার কাজ নিয়ে কোনো ঝামেলা হয়নি। সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। আমি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি।’ তবে ইতিপূর্বে বিভিন্ন কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতের বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।

অল্প সময়ে সম্পদের মালিক হওয়ার বিষয়ে ফারুক বলেন, ‘অন্যায়ভাবে সম্পদশালী হইনি। পৈতৃকসূত্রে কিছু সম্পদ ছিল। ঠিকাদারি ব্যবসায় ভালো করায় সম্পদ বেড়েছে।’

আ.লীগ নেতাদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ : পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের মহড়ার ঘটনা তদন্তে নেমে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ওই নেতাদের অস্ত্র-গুলির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে। তবে গতকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি গণপূর্ত কর্র্তৃপক্ষ। উল্টো সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়া নিয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষের লোকজন খোঁজখবর করায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান  বলেন, ‘পাবনা গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রবেশের ঘটনা জানার পরই বিষয়টি তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ। গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা লিখিত অভিযোগ না করলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। ঠিকাদারদের প্রদর্শিত অস্ত্রও জব্দ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে, অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহারের প্রমাণ মেলায় প্রদর্শিত অস্ত্রগুলোর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছি আমরা।’

জেলার পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় শুধু জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে। সরকারি দপ্তরটিতে জানমালের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা ছিল না। তাদের সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ জন লোকও ছিল। অস্ত্রের মালিকরা সেখানে অস্ত্র বহনের যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেননি।’

এ প্রসঙ্গে পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশি তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’

গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাজি ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এআর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫-৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে পাবনা গণপূর্ত ভবনে যান। তারা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই তারা উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান এবং কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যান। লিখিত অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে নামে। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন হলে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ওই নেতাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি জব্দ করে।