ঢাকা বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫, ৩১শে বৈশাখ ১৪৩২


মিথ্যা তথ্যে ফাঁসানো হচ্ছে রুবেল-বরকতকে,দাবি পরিবারের


১৪ মার্চ ২০২১ ০০:১৭

আপডেট:
১৪ মে ২০২৫ ০৫:৫৩

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা।

শনিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) ‘রুবেল-বরকতের’ সন্তানদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রুবেলের মেয়ে যাওয়াতা আফনান রাদিয়া বলেন, একটি চক্র সুযোগ নিয়ে, মিথ্যা, ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে রুবেল ও বরকতের পরিবারকে হয়রানি করছে। তিনি প্রকৃত সত্য তুলে ধরে পরিবারের প্রতি হয়রানি বন্ধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।

লিখিত বক্তব্যে রাদিয়া বলেন, রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকে, একপক্ষ আরেক পক্ষকে শায়েস্তা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে, তারই ধারাবাহিকতায় আমার বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করার কারণে বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে তার দাদাকে (রুবেল-বরকতের বাবা) জেল খাটানো হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মিরা ফরিদপুরে সর্বপ্রথম তাদের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আওয়ামী লীগ ছাড়া তার দাদা-বাবা-চাচারা কখনোই অন্য কোন দল করেননি উল্লেখ করে রাদিয়া বলেন, আমার বাবা-চাচাকে হাইব্রিড বলা দুঃখজনক।

বাবা-চাচার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বর্ণনা তুলে ধরে রুবেলের মেয়ে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে একই ধারার মামলায় সিআইডি করল ২০০০ কোটি টাকার মামলা। আর দুদক করল ৭২ কোটি টাকার মামলা। দুই বছর অনুসন্ধান করে ৮০০ বিঘার মতো জমি পেল দুদক। অথচ, সিআইডি দেখাল ৫৭০৬ বিঘা জমি।

তাদের নিজস্ব বাড়ি ও অফিসে অভিযানের সময়ে কোন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন না বলেও জানান রাদিয়া। তিনি বলেন, আমার বাবা-চাচাদের নামে লাইসেন্স করা অস্ত্র রয়েছে, কিন্তু অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে অস্ত্র মামলা দেয়া হয়েছে।

রাদিয়া বলেন, আমার বাবা ও চাচাকে গ্রেপ্তারের পর তাদের নামে ১২টি মিথ্যা মামলা দিয়ে, ২৭ দিন টানা রিমান্ডে রেখে, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। থানা বা ডিবি অফিসে না নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে রেখে, অমানুষিক নির্যাতন করে জোরপূর্বক জবানবন্দি নেয়া হয়। থানার আসামি অথচ থানায় নেওয়া হয়নি। আমার চাচা এই অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে, নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাসা ও অফিসে তল্লাশির নামে আমাদের ভাইবোনের ঈদের নতুন টাকা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। অফিস থেকে ২টি লকার থানায় নিয়ে যায়। যার মধ্যে থাকা মা-দাদি-চাচিদের স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ সরিয়ে ফেলা হয়। থানার সিসি টিভি ফুটেজে তার প্রমাণ মিলবে।

ব্যবসা-বাণিজ্যে বাবা-চাচাদের সুনাম আছে উল্লেখ করে রাদিয়া জানান, বাবা-চাচারা ৫ বার ফরিদপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। অধিকাংশ গণমাধ্যম তাদের বক্তব্য না নিয়ে একপেশে রিপোর্ট করেছে।

বরকতের সন্তানরাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।