ঢাকা শনিবার, ১০ই মে ২০২৫, ২৮শে বৈশাখ ১৪৩২


বগুড়া-১ আসনে এমপি প্রার্থী হতে এসে আটক ক্যান্টিন বয়


৬ মার্চ ২০২০ ০৬:৫৫

আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ১৪:২৫

বগুড়া-১ আসনের (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে এসে আটক হলেন মো. আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যক্তি। তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের ক্যান্টিন বয়। মিথ্যা তথ্য দেয়ায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

তবে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের ক্যান্টিন বয়ের চাকরি স্থায়ী না হওয়ার কারণে এমপি প্রার্থী হতে এসেছিলেন বলে জানান আটক আব্দুল মান্নান।

ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব বিপ্লব দেবনাথ জানান, আব্দুল মান্নান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আইনে নির্ধারিত ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক প্রমাণ দেখাতে না পারায় গত ১ মার্চ মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সংসদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কেউ স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আসনের ১ শতাংশ ভোটারকে সমর্থক হিসেবে দেখাতে হয়। এ ক্ষেত্রে ১ শতাংশের ভোটারের নাম ও স্বাক্ষরের তালিকা জমা দিতে হয় মনোনয়নপত্রের সঙ্গে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বিপক্ষে যাওয়ায় আব্দুল মান্নান নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) বিকেলে আপিলের শুনানিতে তিনি ছয়জন সমর্থক নিয়ে আসেন। যারা ভুয়া ভোটার হিসেবে প্রতীয়মান হয়। ফলে আব্দুল মান্নান ও তার ছয় সহযোগীকে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে কমিশন।

আব্দুল মান্নানের ছয় সহযোগী হলেন- বগুড়ার মো. সোহেল রানা ও মো. সুলতান, নোয়াখালীর মো. রুবেল, কক্সবাজারের মো. মাহবুবুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীরর মো. লাবলু ও ময়মনসিংহের ফুলপুরের মো. নূরুল ইসলাম। তারা সবাই রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বিভিন্ন ক্যান্টিনে কাজ করেন।


শের-ই-বাংলা নগর থানার পরিদর্শক মো. ইব্রাহীম বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ দায়ের হওয়ায় আটক করা হয়েছে।’

পরে সাংবাদিকদের আব্দুল মান্নান বলেন, ‘রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ক্যান্টিনে চাকরি স্থায়ী হয়নি। তাই ভাবলাম নির্বাচনে দাঁড়াই।’

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। সে সময়ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এরপর ইসিতে আপিল করলেও তা না টিকলে হাইকোর্টে যান। সেখানেও তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।’

আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৯ মার্চ বগুড়া-১ ও যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ৮ মার্চ। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ৯ মার্চ।