ঢাকা শনিবার, ১৮ই মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


যশোর-রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে ‘ফণি’


৪ মে ২০১৯ ২১:৪৬

আপডেট:
১৮ মে ২০২৪ ২১:২৯

গতিপথ কিছুটা পাল্টে যশোর ও রাজশাহী অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’। মেহেরপুর জেলা দিয়েই এটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

উইন্ডি ডটকমের সাইক্লোন ট্র্যাকার চিত্র অনুযায়ী, সকাল ৯টার দিকে মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’।

তবে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় ৪৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ অবস্থান করছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এদিকে শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুরের পর নাগাদ এটি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

পশ্চিমবঙ্গের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কলকাতার পাশ কাটিয়ে নদীয়া-মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশের পথে রয়েছে ‘ফণি’। সকাল ১০টা নাগাদ এটা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।

এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় ওডিশা হয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ঢুকে পড়ে ‘ফণি’। ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার বেগে খড়্গপুরের বুকে শক্তিশালী ঝড় হিসেবেই আছড়ে পড়ে এটি।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাস জানান, কলকাতায় ফণি আসেনি, পাশ কাটিয়ে আরামবাগ, কাটোয়া হয়ে প্রবেশ করেছে নদীয়ায়। তারপর মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।

এছাড়া এনডিটিভি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ফ্রেজারগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটার। এটি বৃষ্টি ঝরিয়ে আরও দুর্বল হয়ে শনিবার দুপুরের পর নাগাদ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।