সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলায় আরও একজন গ্রেপ্তার

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সোমবার রাতের দিকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. আরমান হোসেন (৩২)। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। গাজীপুরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুর শহরের চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেটের সামনে তুহিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত তুহিন দৈনিক প্রতিদিন পত্রিকার গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে অবস্থিত। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. সেলিম বাসন থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় গ্রেপ্তার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৪), তার স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ময়লাপোতা এলাকার মো. হানিফের ছেলে আল-আমীন (২১), পাবনার ফরিদপুর উপজেলার সোনাহারা গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে স্বাধীন, কুমিল্লার হোমনা থানার অনন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে মো. শাহজালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর থানার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়ামদ্দিন হাসানের ছেলে মো. ফয়সাল হাসান (২৩) ও শেরপুরের নকলা উপজেলার চিতলিয়া গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে সুমন ওরফে সাব্বির (২৬)।
পুলিশ জানায়, হত্যাস্থলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে নীল শার্ট পরিহিত ব্যক্তিকে আরমান হিসেবে শনাক্ত করা হয়। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাতে উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিহত তুহিনের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা আজ মঙ্গলবার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর দুপুর তিনটায় পুলিশ কমিশনার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।