ঢাকা বৃহঃস্পতিবার, ১৭ই জুলাই ২০২৫, ৩রা শ্রাবণ ১৪৩২


মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড

তিন আসামির ৭ দিনের রিমান্ড


প্রকাশিত:
১৬ জুলাই ২০২৫ ১৭:৪৯

ছবি : সংগৃহীত

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সাইফুজ্জামান শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া তিন আসামি হলেন-নান্নু কাজী, রেজওয়ান উদ্দিন ওরফে অভিজিৎ বসু ও তারেক রহমান রবিন। তাদের মধ্যে ৩৫ বছর বযসী রেজওয়ান উদ্দিন অভিকে মঙ্গলবার রাতে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার থেকে করা হয় বলে পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ুম হোসেন নয়ন ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

শুনানির পর আদালত তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই তানভীর মোর্শেদ চৌধুরী।

এর আগে ১০ জুলাই মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে রিমান্ডে পাঠানো হয়। রবিনকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

শনিবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয় টিটন গাজী নামে আরেক আসামিকে। পরদিন রোববার মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনিরের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। সোমবার দুই ভাই সজীব বেপারী ও রাজীব বেপারীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার মহিনকে আবার পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক ব্যবাসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। আর পুলিশ অস্ত্র মামলা দায়ের করে। এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছে পুলিশ।

এদিকে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যার পেছনে ‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও ব্যক্তিগত আক্রোশ’ মূলত কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।