ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোনের চুক্তি সই


৬ মে ২০২৫ ১৬:৩০

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ১৯:৫৫

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও গ্রামীণফোনের চুক্তি সই অনুষ্ঠান

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম (বইপড়া কার্যক্রম) এর মহানগরকেন্দ্রিক পুরস্কার বিতরণ উৎসব আয়োজনে ২০০৪ সাল থেকে সহযোগিতা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরেও এই উৎসবে সহযোগিতার জন্য দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গ্রামীণফোন এ তথ্য জানিয়েছে।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিগত ৪৭ বছর ধরে সারাদেশে আলোকিত মানুষ গড়ার সমৃদ্ধ স্বপ্ন নিয়ে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নানাবিধ উৎকর্ষ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম এর আওতায় বইপড়া কার্যক্রম সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। বর্তমানে সারাদেশে এই কার্যক্রমের আওতায় একহাজার ৪০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর প্রায় দুই লাখ ছাত্রছাত্রী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশ নেন।

জানা গেছে, চলতি বছরেও গ্রামীণফোন ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল এই ৫টি মহানগরে পুরস্কার বিতরণ উৎসবের আয়োজন ও উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজয়ীদের পুরস্কারের বই তুলে দিবেন।

আগামী ৯ ও ১০ মে ঢাকা মহানগরের পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই উৎসব। এরপর ধারাবাহিকভাবে ১৬ মে বরিশাল, ২৩ ও ২৪ মে চট্টগ্রাম, ১১ জুলাই খুলনা ও ১৯ জুলাই রাজশাহী মহানগরের পুরস্কার বিতরণ উৎসব আয়োজন করা হবে।

এই পাঁচটি মহানগরের পুরস্কার বিতরণ উৎসবে বিভিন্ন স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ২০ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী বইপড়ার কৃতিত্বের জন্য স্বাগত, শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সেরাপাঠক এই চারটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার নিবেন।

এ উপলক্ষ্যে রোববার (৪ মে) জিপি হাউজ, বসুন্ধরায় গ্রামীণফোন ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ গ্রামীণফোনের ২০০৪ সাল থেকে ধারাবাহিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘এই সহযোগিতার ফলে দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রম এর ব্যাপ্তি ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বইপড়ার আগ্রহ অনেক বেড়েছে; তেমনি সর্বসাধারণের কাছে গ্রামীণফোনের জনকল্যাণধর্মী ভাবমূর্তি প্রতীয়মান হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি এই সহযোগিতা অব্যাহতভাবে চলবে।

গ্রামীণফোন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তাই তরুণদের সময়োপযোগী দক্ষতা বাড়াতে আমরা একদিকে যেমন গ্রামীণফোন একাডেমির মতো উদ্যোগ হাতে নিয়েছি, অন্যদিকে তাদের মননশীলতার বিকাশে আছি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়ার মতো কর্মসূচির পাশে। বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এবং আলোকিত সমাজ গঠনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজকের এই চুক্তি সই অনুষ্ঠান, যার সঙ্গে গত ২১ বছর ধরে সম্পৃক্ত রয়েছে গ্রামীণফোন। এমন একটি পদক্ষেপের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পক্ষে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং গ্রামীণফোনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান এই চুক্তিতে সই করেন।