আসছে হাড় কাঁপানো শীত, ছাড়িয়ে যাবে সকল রেকর্ড!

শীত আসতে এখনো দুই মাস বাকি। শরৎ-হেমন্তের সাদা কাশফুল এখনো শোভা পাচ্ছে প্রকৃতিতে আর তাতেই শীতের আগমনী গান উত্তরের বাতাসে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকায় এখনও সেভাবে শীত না পড়লেও সন্ধ্যা আর শেষ রাতে শীতের আমেজ পাওয়া যায়।
সন্ধ্যা আর ভোররাতে শুধু রাজধানীই নয় কুয়াশার আচ্ছাদন আর হিমেল হাওয়ার দাপট দেখা যাচ্ছে উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদে। সেই সঙ্গে ক্রমাগত তাপমাত্রা কমছে সারাদেশের। বিগত কয়েকদিনে সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উঠানামা করেছে ১৮-২০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। ক্রমশই ব্যবধান কমছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার।
আবহাওয়াবিদরা জানান, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কাছাকাছি আসা পাশাপাশি সন্ধ্যার দিকে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে গেছে। যেটার জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বলা যেতে পারে। এই কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার দুই মাস আগেই উত্তরাঞ্চলে শীত এসে গেছে।
আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছেন, চলতি আবহাওয়ায় পরিবর্তন না এলে আসছে শীতে ঠাণ্ডার তীব্রতা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। বলা হচ্ছে, এবার ভয়াবহ শীত পড়বে দেশে। উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ জানুয়ারি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার যে রেকর্ড হয়েছিল এবার সেটাও ছাড়িয়ে যাবে।
জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে খেয়ালি হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। বিষয়টিকে বিপজ্জনক বলছেন সংশ্লিষ্টরা। ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসোর্স ইনস্টিটিউট-ইরি বাংলাদেশের কনসালট্যান্ট ড. এমজি নিয়োগী বলছেন, উত্তরাঞ্চলে আড়াই মাস আগেই শীত আসার কারণ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব। এবার শীতের তীব্রতা বহুগুণ বাড়বে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আলী বলেন, 'আবহাওয়ার গতিপথ এবার অন্যরকম খেয়ালি। আশ্বিন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই দেশের উত্তরাঞ্চলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছেই। ফলে কুয়াশা পড়ছে। সামনে হয়তো ভয়াবহ শীত অপেক্ষা করছে।'