ঢাকা মঙ্গলবার, ৬ই মে ২০২৫, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩২


৫ দিন ধরে তালা ঝুলছে মসজিদে


৬ মে ২০২৫ ১৬:১৫

আপডেট:
৬ মে ২০২৫ ১৮:০৩

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের উত্তর কৈকুরী কুর্শাপাড়া গ্রামের জামে মসজিদে পাঁচদিন ধরে তালা ঝুলছে। এতে করে মসজিদটিতে নামাজ পড়তে পারছেন না গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদ পরিচালনা কমিটি নিয়ে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের জেরে মসজিদে তালা দেন কমিটির সভাপতি জিল্লুর রহমান (৬৫)। তিনি ওই মসজিদের একাধারে মোতওয়াল্লি, সভাপতি, মুয়াজ্জিন ও ক্যাশিয়ার।

মসজিদে তালা দেওয়ার জেরে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোনো সময় গ্রামের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদ পরিচালনাকে কেন্দ্র করে জিল্লুর রহমান ও ফিরোজ মিয়ার পরিবারের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। তখন ক্ষিপ্ত হয়েই মুসল্লিদের সামনেই মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেন জিল্লুর রহমান। তারপর থেকেই ওই মসজিদে আযান দেওয়া ও নামাজ আদায় বন্ধ রয়েছে।

ফিরোজ মিয়া জানান, প্রায় ৬০ বছর আগে মরহুম ইয়াসিন ব্যাপারী একটি ওয়াক্তিয়া নামাজ ঘর তৈরি করেন, যা এ ইউনিয়নের সর্ব প্রথম নামাজের স্থান হিসেবেও বেশ পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় মুসল্লিদের অনুরোধে ওয়াক্তি নামাজ ঘরকে উত্তর কৈকুড়ী কুর্শাপাড়া জামে মসজিদ নামকরণ করা হয়। ওই মসজিদ সংলগ্ন একটি ঈদগাহ মাঠ করার উদ্দেশ্যে ৯ শতক জমি ওয়াকফ করা হয়। পরে মসজিদটি নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণ করে স্থানীয় মুসল্লিগণ জুমার নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাব খাটিয়ে জিল্লুর রহমান মুয়াজ্জিন হিসেবে নিয়োগ নিয়ে মসজিদটিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার চেষ্টা করছে। গ্রামের মানুষ যাতে মসজিদে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য মসজিদের মূল ফটক দেওয়াল দিয়ে আটকে দিয়েছে।’

অভিযোগের বিষয়ে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমার পরিবার মসজিদে জমি দান ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন। আমরাই বিদ্যুৎ বিল দিয়ে আসছি। প্রতিবেশী ফিরোজ মিয়া ও তার পরিবার এ সমাজের কেউ নয়। এখন মসজিদে তালা দিয়েছি দেখে সবাই আসা শুরু করছে।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম বলেন, ‘গত শুক্রবার বাদ জুমা আমি উভয় গ্রুপকে নিয়ে বসছিলাম। সে সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। মারামারির উপক্রম হওয়ায় তালা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ইচ্ছা করলে যে কোনো সময় তালা খুলতে পারে।’

এ বিষয়ে রংপুর পুলিশ সুপার আবু সায়েম বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তালা খোলার ব্যবস্থা করা হবে।’