গাজায় গণহত্যা ও আল আকসায় হামলার প্রতিবাদে উলামা ও তাওহিদি জনতার বিক্ষোভ মিছিল

হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে গর্জে উঠল প্রতিবাদ, ওলামা পরিষদের আহ্বানে উত্তাল নেছারাবাদ।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বর গণহত্যা এবং মুসলমানদের প্রথম কেবলা, পবিত্র মসজিদুল আকসায় হামলার প্রতিবাদে পিরোজপুরের নেছারাবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওলামা পরিষদ ও তাওহিদি জনতার উদ্দ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল গণসমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৯টায় উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র ও স্থানীয় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সমাবেশটি জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নেছারাবাদ থানা ওলামা পরিষদের সভাপতি ও বালিহারী খাদেমুল ইসলাম কওমি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা আল আমিন। সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ শামসুদ্দিন।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আল আমিন বলেন,
গাজায় শিশুসহ নিরীহ মানুষের ওপর ইসরায়েলের গণহত্যা এবং আল আকসা মসজিদে সশস্ত্র হামলা শুধু মুসলমানদের নয়, গোটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। তাওহিদি জনতা আজ যার প্রতিবাদে এক কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে।”
সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ শামসুদ্দিন বলেন,
এই বর্বরতা থামাতে বিশ্ব বিবেকের জাগরণ প্রয়োজন। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে আরও বলিষ্ঠ অবস্থান নিতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও কঠোর ভাষায় এই বর্বরতা প্রত্যাখ্যান করা উচিত।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জাকির হোসেন, মহিউদ্দিন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ওলামা পরিষদের সদস্যবৃন্দ। তাঁরা সকলেই মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং আল আকসার পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল সুটিয়াকাঠি হাই স্কুল মাঠ থেকে শুরু হয়ে মিয়ারহাট বন্দর, ইন্দেরহাট, স্বরূপকাঠি বাজার, হাসপাতাল মোড় সহ বিশেষ বিশেষ সড়ক প্রদক্ষিণ করে নেছারাবাদ থানার সামনে দিয়ে ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ শেষে ফেরিঘাট এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত। সেখানে মুসলিম উম্মাহর একতা, ফিলিস্তিনিদের বিজয় এবং আল আকসার পবিত্রতা রক্ষার জন্য প্রার্থনা করেন ওলামা সমাজ।
পুরো কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলেও প্রতিবাদের ভাষা ছিল দৃঢ়, আবেগময় ও বিশুদ্ধ ঈমানি চেতনায় পরিপূর্ণ। এই গণজোয়ার যেন জানিয়ে দিল—বাংলার মানুষ এখনো জেগে আছে, উম্মাহর যেকোনো কষ্টে তারা প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসতে প্রস্তুত।