ব্রীজ নয়, যেন মরণ ফাঁদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সরাইল, নাসিরনগর, লাখাই,রতনপুর রাস্তার উপরে নির্মিত চারটি ব্রীজই যেন মরণফাঁদে পরিনত রয়েছে।
হবিগঞ্জ, রতনপুর থেকে রাজধানী ঢাকার সাথে সহজ যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা এটি। উক্ত রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ভারী যানবাহন যেমন বাস, ট্রাক, বালু ও পাথর ভর্তি ৬ ও চাকা ১০ চাকা বিশিষ্ট যানবাহন যেমন ইন্টার ডিস্টিক, তাছাড়াও প্রতিদিন হাজার হাজার, সিএনজি, অটোরিক্সা সহ মানুষজন চলাচল করে।
বিগত দুইবারের বন্যায় উক্ত ব্রীজ গুলি ভেঙ্গে বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। কোন রকম জোড়াতালি দিলে চলছে যানবাহন ও মানুষজন। উল্লেখ যোগ্য ব্রীজ গুলোর মাঝে রয়েছে সদর ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল চামার বাড়ির নিকট একটি। সদর ইউনিয়ন ও বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দুই সীমানার মাঝে মহাগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত শতবর্ষ পুরাতন একটি, শ্রীঘর মেন্দি আলীর বাড়ির নিকট একটি, ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকোড়া গ্রামের ঈদ গাহের নিকট একটি।
সম্প্রতি সড়ক ও জনপদ বিভাগের মাধ্যমে নাসিরনগর সদর আর বুড়িশ্বর ইউনিয়নের মহাগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজটি হেলে আর দেবে গিয়ে ফাঁটল ধরার কারনে পাশে একটি বিকল্প সেতু তৈরী করা হলেও বর্তমানে উক্ত সেতুটিও আরো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। উক্ত সেতুটি দিয়ে কোন যানবাহ চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না।
নাসিরনগর সিএনজি শ্রমিক সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান,সিরিয়াল মাষ্টার মোঃ মনির মিয়া,কাউন্টার মাষ্টার মোঃ লালন শাহ,ভোল্লা থেকে ঢাকা যাত্রাবাড়ীর সবুজ বাংলা গাড়ির কন্ট্রাকটর মোঃ আমজাদ হোসেন, চালক মোঃ মফিজ উদ্দিন,পথচারী মোঃ কাউছার সহ আরো অনেকেই এখন হেমন্তকাল তাই ব্রিজগুলো এখনো টিকে আছে। বর্ষাকাল আসলে ব্রিজগুলো যে কোন সময় দেবে যেতে পারে।
তাই ব্রীজ গুলো দ্রুত নির্মান না করা হলে মহাসড়কে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ এনামুল মৃধা জানান,আমি নতুন যোগদান করেছি তাই এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশীর মোবাইল নাম্ভারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভি করেননি।