রাঙ্গাবালীতে টাকার বিনিময়ে ভিজিএফ চালের টোকেন বিতরণ
জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে সাগর নদীর অভয়াশ্রমে মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের ৮০ কেজি করে চাল দেয় সরকার। তবে রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে চাল বিতরণে চাঁদা তোলার অভিযোগ তুলেছেন জেলেরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) উপজেলার বড়বাইশদিয়া চল হালিম লঞ্চঘাটে জেলেদের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলেদের অভিযোগ তাদের কাছ থেকে , ১০০ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে জেলে চালের টোকেন প্রদান করে। টাকা না দিলে কোন টোকেন প্রদান করে না।
০৬নং ইউপি সদস্য মতিউর রহমান জানান ইউএনও স্যার দুইশত টাকা করে নিতে বলছেন ইউএনও স্যার সাথে ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাফর মিংটি করছেন।
০২নং ইউপি সদস্য ইমাম জানান ১০০ টাকা করে নিছি বাকি সবাই আমার জানা মতে ১০০/-টাকা নিছে।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু জাফর কাছে ফোনে মাধ্যমে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেনা বলে ফোন কেটে দেয়। পরবর্তীতে ফোন দিয়ে মাথা ডান্ঠ রাখতে বলেন ও প্রেসক্লাব সভাপতি সাথে কথা বলতে বলেন।
এ বিষয় জানতে চাইলে এস এম শাহাদাত হোসেন মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা বলেন আমি কিছু জানিনা আপনি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র, উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে জেলে সংখ্যা ৩ হাজার ৪’শত ১৭ জন। তাদের মধ্যে চাল বরাদ্দ হয়েছে ১৮ শ ৫০ জনের।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার ইকবাল হাসান জানান আমি অবগত নাই অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র, উপজেলা রাঙ্গাবালী সদর, ছোটবাইশদিয়া, চরমেন্তাজ, বড়বাইশদিয়া, মৌডুবী ,চালিতাবুনিয়া জেলের সংখ্যা প্রায় অধ লক্ষ সরকারি তালিকায় নিবন্ধিত জেলে ১৬ হাজার জেলে পরিবারের জন্য ১, হাজার ৬০০ মেট্রিক টন জেলে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ আসে। এ নিষেধাজ্ঞার সময় থেকে চার মাস প্রতি জেলে ভিজিএফের চাল পাবে ১৬০ কেজি। ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে নিষেধাজ্ঞার সময় সাগর নদীতে অভয়াশ্রম ঘোষিত করা হয়েছে।
