ঢাকা সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২


সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী বাচ্চু’র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ


২৯ জানুয়ারী ২০২৫ ১৯:৪৮

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ০৪:১৮

সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী মো: সাইফুল ইসলাম বাচ্চু’র বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, নারী, নকল, নবিশদের হয়রানি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি আবেদ আলী নামের একজন ব্যক্তি নিবন্ধন শাখার মহাপরিদর্শক বরাবর বাচ্চু’র দুর্নীতি ও অনিয়মের বিচার চেয়ে অভিযোগ করেছেন। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ করেও কর্তৃপক্ষের থেকে এখনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী মো: সাইফুল ইসলাম বাচ্চু যে ভাবে ছড়ি ঘোরান সেভাবেই চলে জেলা রেজিষ্ট্রার অফিস। খোদ জেলা রেজিস্ট্রারও বাচ্চুর বাইরে কথা বলে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে আরো জানা গেছে, নকলনবিশ থেকে আসা অফিস সহকারি পদে যোগদানের পওে সাইফুল ইসলাম বাচ্চুকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের অধীনে জেলার ৭টি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস একাই নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়া জেলার ৭টি অফিস থেকে গড়ে মাসে ৪ হাজার দলিল রেজিষ্ট্রি হয় এতে সাইফুল ইসলাম বাচ্চু দলিল প্রতি নেন ২’শ টাকা। মাসে ৩ হাজার নকলে নেন নকল প্রতি ১৫০ টাকা করে নেন। এছাড়া প্রতি মাসে পরির্শনে অফিস প্রতি দিতে হয় লাখ টাকা। ৩০ জন কর্মচারিকে জনপ্রতি প্রতিমাসে সাইফুল ইসলাম বাচ্চু বাবদ দিতে হয় ৫ হাজার টাকা। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, জেলায় ১শ’ জন নিকাহ রেজিস্ট্রারকে প্রতি বছর ইনডেন্ট প্রতি দিতে ৩ হাজার টাকা, নিকাহ রেজিস্ট্রারদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার নামে লাখ টাকা নিয়ে থাকেন।

এছাড়া জেলা অফিসে প্রতি বছর আসবাব পত্র কেনার জন্য যে বাজেট থাকে তার কোন কাজ না করে ভ‚য়া বিল ভাউচার করে টাকা হজম করে ফেলেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া সহকারি বদলিতে দিতে হয় ৫ লাখ টাকা, মোহরার ৩ লাখ টাকা ও পিয়নে দিতে হয় ২ লাখ টাকা। দলিল লেখার লাইসেন্স নবায়ন করতে জনপ্রতি দিতে হয় ১৫শ’ টাকা। সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের বিশ^স্ত সূত্রে জানা গেছে, জেলায় মোট ৪শ’ লাইসেন্স আছে। এছাড়া তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারী হয়েও সাইফুল ইসলাম বাচ্চু সাতক্ষীরা শহরে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি। কিনেছে শত বিঘা জমি। কৌশলে নিজের ছেলেকে দিয়েছেন নকল নবিশের চাকুরি। যদিও তিনি অফিস করেন না। বোনকে করিয়েছের পদোন্নতি।

জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অফিস সহকারী সাইফুল ইসাম বাচ্চু জেলা রেজিস্ট্রি অফিসকে নিজের বাড়ি মনে করেন। নিজের ইচ্ছামত করেন অফিসের কাজ। অফিসের প্রধান সহকারী নুসরাত ফাতেমাকে দিয়ে কোন কাজ করান না। কম্পিউটার অপারেটরেরও একই অবস্থা। নিজেই করেন যাবতীয় কাজ। তদন্তপূর্বক বাচ্চুর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে ভ‚ক্তভোগীরা মহাপরিদর্শকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে সাইফুল ইসলাম বাচ্চু তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মনগড়া কথা লেখা হয়েছে, অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।