ঢাকা রবিবার, ১৯শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


বিসিএস কর্মকর্তা পরিচয়ে রোগী দেখেন তিনি


১৯ জানুয়ারী ২০২০ ১১:৫৯

আপডেট:
১৯ মে ২০২৪ ০০:৪৯

            "'সিফাত হাসান শাহিন"

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় সিফাত হাসান শাহিন নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি বিসিএস (স্বাস্থ্য) কর্মকর্তা পরিচয়ে রোগী দেখতেন।

আজ শনিবার দুপরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিভীষণ কান্তি দাশ ওই ভুয়া চিকিৎসককে এ কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

সিফাত হাসান শাহিন ঢাকার দনিয়া এলাকার সওদাগর বাড়ির মো. জজ মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন সিফাত হাসান শাহিন। দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিজেকে এমবিবিএস (ঢাকা), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (মেডিসিন) ও সিসিডি (বারডেম) মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সামনে জমিলা ফার্মেমিতে চেম্বার করে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।

সিফাত হাসান শাহিন ১৯৯৩ সালে এসএসসি ও ১৯৯৫ সালে এইচএসসি পাস করলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লেখিত জন্ম তারিখ অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১৭ মার্চ ১৯৯৪। তিনি জনৈক ডা. দিলরুবা আকতারের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নম্বর-৩৯২৬৬ নিজের দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে আসছেন। এই ভুয়া ডাক্তার তার প্রেসক্রিপসন প্যাড ও ভিজিটিং কার্ডে নামের পাশে উপরোক্ত ডিগ্রিগুলো ব্যবহারের পাশাপাশি নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, ‘অভিযানকালে সিফাত হাসান শাহিন কোনো বৈধ সনদ দেখাতে পারেননি। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিজেকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে স্বীকার করেছেন। তাই বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ২৯ ধারায় ভুয়া পদবি নাম ব্যবহারের অপরাধে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’