পেদ্রো জাদুতে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে চেলসি

শৈশবে এই ফ্লুমিনেন্সেই তার পেশাদার ফুটবলের হাতেখড়ি। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার হোয়াও পেদ্রো মাত্র সপ্তাহখানেক আগেই যোগ দিয়েছিলেন চেলসিতে। চেলসির হয়ে অভিষেক ম্যাচে সেই ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষেই জয়ের নায়ক বনে গেলেন পেদ্রো। ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তার জোড়া গোলেই ফ্লুমিনেন্সকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে চেলসি।
মেটলাইফ স্টেডিয়ামে দুই দলই সমানে সমান লড়াই করেছে পুরো ম্যাচজুড়ে। গোলের সুযোগও এসেছিল দুই দলের সামনেই। তবে চেলসি তাদের সুযোগগুলো দারুণভাবে কাজে লাগানোয় গোল পেয়েছেন শুধু তারাই।
১৮ মিনিটের মাথায় চেলসিকে এগিয়ে দেন পেদ্রো। বক্সের বাইরে বল পেয়ে দারুণ এক শটে বল জালে জড়ান পেদ্রো। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করেও উদযাপন করেননি তিনি।
২৬ মিনিটে ম্যাচে ফেরার দারুণ সুযোগ নষ্ট করে ফ্লুমিনেন্স। ৩৪ মিনিটে প্রথমে পেনাল্টির বাঁশি বাজালেও পরে ভিএআরের সাহায্যে সেটা বাতিল করেন, কপাল পোড়ে ফ্লুমিনেন্সের। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় চেলসি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে ফার্নান্দেজের থ্রু পাসে বল পেয়ে লিড দ্বিগুণ করেন পেদ্রো। শেষ পর্যন্ত পেদ্রোর এই জোড়া গোলেই জয় পেয়েছে চেলসি। ২-০ গোলের এই জয়ে সবার আগে ফাইনালে পৌঁছে গেল চেলসি।
১৪ জুন টুর্নামেন্টের ফাইনালে চেলসির প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ অথবা পিএসজি। আজ দ্বিতীয় সেমিতে মুখোমুখি রিয়াল-পিএসজি।