ঢাকা বুধবার, ১৩ই আগস্ট ২০২৫, ২৯শে শ্রাবণ ১৪৩২


​হাসপাতাল ছাড়লেন জামায়াত আমির


প্রকাশিত:
১২ আগস্ট ২০২৫ ১৯:০৯

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি এখন অনেকটা সুস্থ আছেন। তবে তার বিশ্রাম প্রয়োজন।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার কিছু সময় পরে জামায়াত আমির গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে বের হন।

এদিন বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আমাদের আমির ডা. শফিকুর রহমান আজ হাসপাতাল ত্যাগ করছেন। তিনি সুস্থ হয়েছেন। উনাকে এখন বাসায় নিয়ে যাবো। এটা বড় ধরনের অপারেশন ছিল। রিকভারি হতে সময় লাগবে। আলহামদুলিল্লাহ উনি ভালো আছেন। বাসায় দুই সপ্তাহ রুটিনমাফিক রেস্ট নেবেন। তবে এ সময় তিনি কর্মক্ষম থাকবেন, বাসা থেকে আমাদের পরামর্শ দেবেন। আশা করি তিন সপ্তাহ পর জনসন্মুখে আসতে পারবেন।

নায়েবে আমির বলেন, এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে আয়া, সুইপার প্রত্যেকে শতভাগ দিয়ে আমিরের সেবার চেষ্টা করেছেন। আমরা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবির, মনিরুজ্জামান, হাসপাতালের এমডিসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রতি জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাতির পক্ষ থেকেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের আমির দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নন। পুরো জাতি উনাকে অপরিহার্য নেতা মনে করে। হাজার হাজার লোক উনাকে দেখতে চেয়েছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোক দেখতে এসেছেন। সবাইকে আসলে সুযোগ দেওয়া যায়নি। যারা আসতে পারেননি, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আমাদের আমিরের সুস্থতার জন্য অনেক মা-বোন রোজা রেখেছেন, কেউ নফল নামাজ পড়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ তিনি ভালো আছেন, সবাই দোয়া করবেন।

এ বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শহিদ আলম চৌধুরী বলেন, গত ২ তারিখে উনার অপারেশন হয়েছে। ২-৫ তারিখ পর্যন্ত কার্ডিয়াক আইসিইউতে ছিলেন। ৫ তারিখে উনার টিউবগুলো খুলে নিয়েছি। উনি নিজে হেঁটেছেন। তারপর ওনাকে আমরা কেবিনে নিয়ে গেছি। গত ৫ তারিখ থেকে এখন পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১১টা) উনি সেখানেই আছেন। ডে বাই ডে উনি প্রগ্রেস করছেন। ওনার প্রগ্রেস নিয়ে আমরা খুবই হ্যাপি। আমরা আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে উনি নরমাল জীবনে ফিরতে পারবেন।

এর আগে, গত ২ আগস্ট বাইপাস সার্জারির জন্য শফিকুর রহমানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার হার্টে পাঁচটি ব্লক ধরা পড়ে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শফিকুর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা সে দিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় বড় কোনো জটিলতা পাননি, তবে ধারণা করেছিলেন তিনি ডিহাইড্রেশনে ভুগেছেন।

ওই ঘটনার পর দুই দিনের বিশ্রাম শেষে তিনি রংপুর, খুলনা, মৌলভীবাজারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন। এরপর আবারও অসুস্থ হয়ে গত ৩০ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষায় তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।