ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩রা আশ্বিন ১৪৩১


নাসিরনগরে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা


২৯ আগস্ট ২০২৪ ১৩:২৩

আপডেট:
২৯ আগস্ট ২০২৪ ১৩:২৪

 

জেলা নাসিরনগরে এক বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।প্রায় এক মাস ধরেই প্রতিদিন রাতে বিভিন্ন দামি দামি আসবাবপত্রসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। সর্বশেষ ২৭ আগস্ট রাতেও ঘটেছে লুটপাটের ঘটনা।

ঘটনাটি নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বিএনপি নেতার নাম জামাল মিয়ার বাড়িতে। মোঃ জামাল মিয়া নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও হরিপুর ইউনিয়নের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট জামাল মিয়ার স্ত্রী শাহানা বেগম বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জামাল মিয়ার সাথে একই গোষ্ঠীর আবুলালের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। গত মাসের ২১শে জুলাই রাতে আবুলাল ও তার ভাই আবু ছায়েদ জায়গার বিষয়টি জামাল মিয়াকে জিজ্ঞেস করেন। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির পর আবুলাল বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা সদর হাসপতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ২২ জুলাই নিহতের ভাই আবু ছায়েদ বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামী করে নাসিরনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকেই বাড়ি ছাড়া জামাল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন। এ সুযোগে প্রায় প্রতিদিনই জামাল মিয়ার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালাচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা জামাল মিয়া বলেন, আবুলাল স্ট্রোক করে মারা গেলেও তারা আমাদের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকেই আমার বাড়িতে একমাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই হামলাও লুটপাট হচ্ছে।তিনি বলেন আমার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে হত্যা মামলার বাদী আবু ছায়েদ বলেন, আমরা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট কিছুই করিনি। তারা নিজেরাই এগুলো করেছে।

নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নূরে আলম বলেন, এবিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।